বরিশাল ব্যুরো
জুন ১২, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
বরিশাল ব্যুরো
জুন ১২, ২০২৫, ০৫:২৮ পিএম
ঈদের ছুটি শেষ না হতেই কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে পরিবার-পরিজনের টানে বাড়ি ফেরা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ। ফলে সড়ক ও নৌপথে গত দুই দিন ধরে কর্মস্থলগামী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা যাচ্ছে। এই সুযোগে লঞ্চ ও বাসে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে সংশ্লিষ্ট পরিবহন মালিক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে, যা যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে বরিশাল লঞ্চঘাট এবং দুপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদে সরেজমিনে গেলে যাত্রীরা এ ধরনের অভিযোগ জানান।
সূত্র জানায়, ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ঈদের আগে যেখানে প্রতিদিন দুইটি করে লঞ্চ চলাচল করত, সেখানে এখন ‘স্পেশাল সার্ভিস’-এর নামে প্রতিদিন ৭-৮টি লঞ্চ চলাচল করছে। একইভাবে অভ্যন্তরীণ রুটেও বিরতিহীনভাবে লঞ্চ চলাচল করছে।
যাত্রীরা জানান, আগে ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে ডেক ভাড়া ৩০০ টাকা ছিল, বর্তমানে তা ৪০০ টাকা করা হয়েছে। সিঙ্গেল কেবিনের ভাড়া ১,০০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১,২০০ টাকা এবং ডাবল কেবিনের ভাড়া ২,০০০ থেকে বাড়িয়ে ২,৪০০ টাকা নেয়া হচ্ছে। এছাড়া অভ্যন্তরীণ রুটের লঞ্চগুলোর ভাড়াও প্রকারভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিআইডব্লিউটিএ বরিশালের উপ-পরিচালক সেলিম রেজা। তিনি বলেন, “ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে সরকার নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ীই ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। পূর্বে ব্যবসায়িক কারণে মালিকরা নির্ধারিত ভাড়ার কম নিতেন, এখন তা ঠিক রেটে নেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা তদন্ত করে কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
অন্যদিকে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে চলাচলকারী পরিবহনগুলোর টিকিট যেন এখন সোনার হরিণ। বিভিন্ন বাস কাউন্টারে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে আগামী শনিবার (১৪ জুন) পর্যন্ত আগাম টিকিট বুক হয়ে গেছে।
তবে একাধিক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, আগের ৬০০ টাকার টিকিট এখন কাউন্টার শ্রমিকদের গোপনে ১,০০০ টাকা দিলে মিলছে। এসব অভিযোগও অস্বীকার করেছেন কাউন্টার মালিকরা।
ভুক্তভোগী যাত্রীরা প্রশাসনের কাছে পরিবহন খাতে ভাড়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
ইএইচ