Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫,

লঞ্চে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

আরিফ হোসেন, বরিশাল ব্যুরো

জুন ১৩, ২০২৫, ০৭:৪৩ পিএম


লঞ্চে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়, মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন শেষে রাজধানীতে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের কর্মজীবী মানুষ। 

শুক্রবার বরিশাল নদী বন্দরে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

নদীবন্দরে থাকা লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ধারণা করছেন, সামনে আরও দুই-তিন দিন যাত্রীদের এই ভিড় অব্যাহত থাকবে এবং শনিবার যাত্রী চাপ আরও বাড়তে পারে।

সরেজমিনে বরিশাল লঞ্চ টার্মিনালে গিয়ে দেখা গেছে, বরিশাল-ঢাকা নৌরুটে চলাচলকারী লঞ্চগুলো ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ঢাকা-বরিশাল রুটের বিশেষ সার্ভিসে থাকা লঞ্চগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলের উদ্দেশে যাত্রা করছেন সাধারণ মানুষ। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপের কারণে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

এর মধ্যে দেশে আবারও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে। অথচ লঞ্চগুলোতে কোনো স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না। বরিশাল নদীবন্দর থেকে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ যাত্রী নিয়ে রাজধানীর উদ্দেশে ১২টি বিলাসবহুল লঞ্চ ছেড়ে গেছে। যাত্রীদের মধ্যে বেশিরভাগই মাস্ক পরেননি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি। জেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ কিংবা বিআইডব্লিউটিএ-র পক্ষ থেকেও কোনো কার্যকর ভূমিকা পরিলক্ষিত হয়নি।

ঢাকাগামী যাত্রী আমিন সরদার বলেন, “ভিড় এড়াতে ছুটি শেষ হওয়ার আগেই রওনা হয়েছি, কিন্তু ঘাটে এসে লঞ্চে উঠতে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় লেগেছে। পথে পথে ভোগান্তি তো আছেই, তার ওপর দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।”

একই অভিযোগ করেন যাত্রী বিউটি বেগম। তিনি বলেন, “লঞ্চ মালিকরা খামখেয়ালি করছে। কর্তৃপক্ষের তেমন কোনো নজরদারি নেই বলেই অতিরিক্ত যাত্রী বহন করছে লঞ্চগুলো।”

এ প্রসঙ্গে বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল কার্যালয়ের উপপরিচালক সেলিম রেজা জানান, “বরিশাল-ঢাকা রুটে শুক্রবার ১২টি লঞ্চ ঈদের বিশেষ সার্ভিস হিসেবে প্রায় অর্ধলক্ষ যাত্রী নিয়ে নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ছেড়ে গেছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়াই নেওয়া হচ্ছে। অভ্যন্তরীণ কোনো রুটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট লঞ্চ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

তিনি আরও জানান, “বরিশাল নদীবন্দরে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নৌ-পুলিশ ও সাদা পোশাকে পর্যবেক্ষণ দল কাজ করছে।”

ইএইচ

Link copied!