ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০৫ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

একদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝরল ১২ প্রাণ

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

জুলাই ৫, ২০২৫, ১২:১৮ এএম

একদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঝরল ১২ প্রাণ

৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ হাজার ৭৭৮ জনের—সেভ দ্য রোড

বিভিন্ন স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। পাবনায় তিনজন, চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় তিনজন, কক্সবাজারে দুই বাসযাত্রী, গোপালগঞ্জে দুজন, সাতক্ষীরায় এক বৃদ্ধ, ঝিনাইদহে একজন নিহত হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—

পাবনা : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে একটি পাথরবোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। 

গতকাল শুক্রবার উপজেলার ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের পূর্ব বনগ্রাম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন, পাবনার সুজানগর উপজেলার শান্তিপুর এলাকার মৃত হাসেম মোল্লার ছেলে আবেদ আলী এবং আতাইকুলা থানার কারিগর পাড়ার ইরাদ আলী প্রামানিকের ছেলে মনসুর আলী। 

মাধপুর হাইওয়ে থানার ওসি মুস্তাফিজুর রহমান জানান, বাসটি নারায়ণগঞ্জ থেকে পাবনার দিকে যাচ্ছিল এবং ট্রাকটি বিপরীত দিক থেকে আসছিল। পূর্ব বনগ্রাম এলাকায় পৌঁছালে দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন নিহত হন এবং অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা : চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের ছেলেসহ দুজন নিহত হয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে আলমডাঙ্গা-কুষ্টিয়া সড়কের নওদাপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

এদিকে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আলমডাঙ্গা থানা ভবনের সামনে পাখিভ্যান থেকে পড়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন, বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান চঞ্চলের ছেলে রিয়াদ (১৩) এবং ফরিদপুর গ্রামের শফিকুল ইসলামের জামাতা ও চেয়ারম্যানের মুরগির খামারের কর্মচারী পলাশ (৩৫)।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে পলাশ ও রিয়াদ মোটরসাইকেলে কুষ্টিয়া থেকে কেনাকাটা শেষে আলমডাঙ্গার দিকে ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নওদাপাড়া এলাকায় পৌঁছালে পেছন দিক থেকে দ্রুতগতির একটি পিকআপভ্যান তাদের মোটরসাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তারা ছিটকে পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই রিয়াদের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত পলাশকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনিও মারা যান। খবর পেয়ে আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। আলমডাঙ্গা থানার ওসি মাসুদুর রহমান জানান, নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অন্যদিকে, একই রাতে আলমডাঙ্গায় ব্যাটারিচালিত একটি পাখিভ্যান থেকে ছিটকে পড়ে হান্নান হোসেন নামে আরও একজন নিহত হয়েছেন। তিনি উপজেলার কালিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দা।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হান্নান আলমডাঙ্গা মাইক্রোস্ট্যান্ড থেকে মাদকসেবনের পর একটি ব্যাটারিচালিত পাখিভ্যানে করে উপজেলা পরিষদের গেটের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে আলমডাঙ্গা থানা ভবনের সামনে ভ্যানটি একটি গতিরোধকের (স্পিড ব্রেকার) ওপর উঠলে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়ে যান এবং গুরুতর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি ক্লিনিকে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।

কক্সবাজার : কক্সবাজারের চকরিয়া একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে খাদে পড়ে দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার হারবাং ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন চিরিংগা হাইওয়ে থানার ওসি আরিফুল আমিন। 

তিনি জানান, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস বৃষ্টির কারণে সড়কে পিচ্ছিল অবস্থায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাত আড়াইটার দিকে বাসটি ক্রেন দিয়ে উদ্ধার করা হয়। এ সময় এক যুবকের মরদেহ বাসের জানালায় ঝুলে এবং আরেকজনের মরদেহ বাসের নিচে চাপা পড়ে থাকতে দেখা যায়। নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। আহত পাঁচজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, বাসটিতে চালক ও সহকারীসহ প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। যাত্রীদের সঙ্গে চালকের গতি নিয়ে কথাকাটাকাটি হচ্ছিল। চুনতি পার হওয়ার পর হঠাৎ গতি বাড়িয়ে দিলে চালক বাসের নিয়ন্ত্রণ হারান এবং বাসটি খাদে পড়ে যায়। ওসি আরিফুল আমিন বলেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ হাইওয়ে থানায় রাখা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত বাসটিও উদ্ধার করে থানায় নেয়া হয়েছে। ঘটনায় আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় দুজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজন ট্রাক ড্রাইভার ও অন্যজন হেলপার। নিহতরা হলেন- ট্রাক ড্রাইভার আফরান ফকির ও ইয়াসিন মোল্লা। এদের মধ্যে প্রথম জনের বাড়ি খুলনা ও হেলপারের বাড়ি গোপালগঞ্জে। গতকাল শুক্রবার   ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের সদর উপজেলার ডুমদিয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মির মো. সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। কাশিয়ানী হাইওয়ে থানার এসআই রোমারন মোল্লা জানান, যশোরের কেশবপুর থেকে ড্রাগন ও পেয়ারা ভর্তি একটি ট্রাক নিয়ে ফেরার পথে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ডুমদিয়া এলাকায় পৌঁছালে তাদের ট্রাকসহ অন্য একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়ে। এসময় ইয়াসিন, ওই ট্রাকের ড্রাইভার ও অন্য অচল ট্রাকের ড্রাইভার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকটি মেরামতের চেষ্টা করছিলেন। হঠাৎ করে দ্রুতগামী যাত্রীবাহী একটি বাস এসে ট্রাকের পিছনে ধাক্কা দিলে চাপা পড়ে ইয়াসিন ও ড্রাইভার অফরান। এসময় আরেক চালক গুরুতর আহত হন। 

পরে আহত দুজনকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইয়াসিনকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল উল্টে পড়া ট্রাক সরানোর সময় গাড়ির নীচ থেকে ট্রাকের ড্রাইভার আফরানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আহত অপরজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। 

সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরায় দ্রুতগতির একটি পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে মাদুর ব্যবসায়ী এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের দোহাকুলার মোড়ে হেলালের ভাটার সামনে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় জনতা ঘাতক পিকআপটি আটক করেছে। নিহত বৃদ্ধের নাম মো. সুলতান আলী। তিনি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার পুরোহিতপুর গ্রামের মৃত ফজর আলীর ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ব্যবসায়ী মোখলেসুর রহমান জানান, মাদুর ব্যবসায়ী বৃদ্ধ সুলতান আলী একটি ভ্যানে সাতক্ষীরা থেকে ধুলিহর বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সদর উপজেলাধীন সাতক্ষীরা-আশাশুনি সড়কের দোহাকুলার মোড়ে হেলালের ভাটার সামনে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি পিকআপ যাত্রীবাহী ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এ সময় ভ্যান আরোহী বৃদ্ধ ছিটকে রাস্তার ওপর পড়ে গেলে পিকআপ তার গায়ের ওপর দিয়ে চলে যায়। এতে পিকআপের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় ভ্যানচালক। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

সদর থানার ওসি শামিনুল হক বলেন, ঘাতক পিকআপটি আটক করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নিহতের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

ঝিনাইদহ : ঝিনাইদহে পিকআপভ্যানের ধাক্কায় মনোয়ারা খাতুন নামে এক ইজিবাইক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘাতক পিকআপটি জব্দ করা গেলেও চালক পালিয়ে গেছেন। গতকাল শুক্রবার ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের আমতলা বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মনোয়ারা খাতুন ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চুটলিয়া গ্রামের বাহেন মণ্ডলের মেয়ে।

আরাপপুর হাইওয়ে থানার ওসি মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস জানান, সকালে ইজিবাইকে করে ঝিনাইদহ আসছিলেন মনোয়ারা খাতুন। ইজিবাইকটি আমতলা বাজার সংলগ্ন ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় কুষ্টিয়া থেকে ঝিনাইদহ অভিমুখী দ্রুতগামী পিকআপটি ইজিবাইকে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইক যাত্রী মনোয়ারা খাতুন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় হাইওয়ে পুলিশ তাকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ঘাতক ট্রাকটি আটক করা হলেও চালক পালিয়ে গেছেন বলেন জানান ওসি।

৬ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল ২ হাজার ৭৭৮ জনের : সেভ দ্য রোড

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত সড়কপথে মোট ১৭ হাজার ৯৫৭টি দুর্ঘটনায় ১৭ হাজার ৮২৬ জন আহত হয়েছেন। এ সময়ে প্রাণ হারিয়েছেন ২ হাজার ৭৭৮ জন। 

গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বিজয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা।

সেভ দ্য রোড-এর মহাসচিব শান্তা ফারজানা জানান, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, সিএনজিসহ থ্রি হুইলার ধরনের বাহনে ৮ হাজার ৮১২টি দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮ হাজার ৮১৫ এবং নিহত হয়েছেন ৭৯৫ জন। একই সঙ্গে ৩ হাজার ৭১৪টি মোটর সাইকেল দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৬২৩ জন আহত এবং ৬৭৩ জন নিহত হন। ৩ হাজার ৪০৪টি বাস দুর্ঘটনায় ৩ হাজার ৩১৮ জন আহত এবং ৮২৫ জন নিহত হয়েছেন এবং ২ হাজার ২৭টি ট্রাক-পিকআপ-লড়ি দুর্ঘটনায় ২ হাজার ৭০ জন আহত এবং ৪৮৫ জন নিহত হয়েছেন।  

সেভ দ্য রোড-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিকাশ রায়, প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী, মহাসচিব শান্তা ফারজানাসহ সংশ্লিষ্ট গবেষণা সেল সদস্যদের তত্ত্বাবধানে ১৭টি জাতীয় দৈনিক, ২২টি নিউজ পোর্টাল এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীদের দেয়া তথ্য অনুসারে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠাতা মোমিন মেহেদী বলেন, সেভ দ্য রোড-এর দাবি অনুযায়ী প্রতি ৩ কিলোমিটারে পুলিশ বুথ বা ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন না করা ও হাইওয়ে পুলিশসহ জেলা-উপজেলা পর্যায়ের পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলার কারণে সড়কপথে ৬ মাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে ১১৮টি। এতে ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছেন ১০৪ জন। এছাড়াও নারী শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে ৬১৪টি। ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২টি। যার অধিকাংশই থানা-পুলিশের শরণাপন্ন হয়নি বলে প্রত্যক্ষদর্শী ও সেভ দ্য রোড-এর স্বেচ্ছাসেবীদের তথ্যে উঠে এসেছে। 

নৌপথে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের দায়িত্ব অবহেলার সুযোগে অন্যান্য বছরের তুলনায় ডাকাতি বেড়েছে। রেলপথে মহাখালীতে দুষ্কৃতকারীদের ছোড়া ইট-পাটকেল ও ছিনতাইকারীদের হামলায় ৪১ জনসহ মোট ৫৩ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নৌপথে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৬১৫টি। এতে আহত হয়েছেন ৪৫১ জন এবং নিহত হয়েছেন ১৪ জন। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত রেলপথে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে ৫২৬টি। এতে আহত হয়েছেন ১৮৪ জন এবং নিহত হয়েছেন ১৪ জন। গত ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুনের মধ্যে আকাশপথে কোনো দুর্ঘটনা না ঘটলেও বিমানবন্দরের অব্যবস্থাপনার কারণে অসুস্থ হয়েছেন ৩১৬ জন।  এসময় সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়, সেভ দ্য রোড-এর পক্ষ থেকে গত ১৭ বছর যাবৎ ৪ পথ দুর্ঘটনামুক্ত করতে ৭ দফা দাবি নিয়ে কাজ করছে। 

৭ দফা হলো- ১. মিরেরসরাই ট্রাজেডিতে নিহতদের স্মরণে ১১ জুলাইকে ‘দুর্ঘটনামুক্ত পথ দিবস’ ঘোষণা করতে হবে।

২. ফুটপাত দখলমুক্ত করে যাত্রীদের চলাচলের সুবিধা দিতে হবে।

৩. সড়ক পথে ধর্ষণ-হয়রানি রোধে ফিটনেসবিহীন বাহন নিষিদ্ধ এবং কমপক্ষে অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ ও জাতীয় পরিচয়পত্র ছাড়া চালক-সহযোগী নিয়োগ ও হেলপার দিয়ে পরিবহন চালানো বন্ধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

৪. স্থল-নৌ-রেল ও আকাশ পথ দুর্ঘটনায় নিহতদের কমপক্ষে ১০ লাখ ও আহতদের ৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ সরকারিভাবে দিতে হবে।

৫. ‘ট্রান্সপোর্ট ওয়ার্কার্স রুল’ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সত্যিকারের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ‘ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন’ বাস্তবায়ন করতে হবে।

৬. পথ দুর্ঘটনার তদন্ত ও সাজা ত্বরান্বিত করণের মধ্য দিয়ে সতর্কতা তৈরি করতে হবে এবং ট্রান্সপোর্ট পুলিশ ব্যাটালিয়ন গঠনের আগ পর্যন্ত হাইওয়ে পুলিশ, নৌ পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের আন্তরিকতা-সহমর্মিতা-সচেতনতার পাশাপাশি সব পথের চালক-শ্রমিক ও যাত্রীদের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হবে। সব পরিবহন চালকের লাইসেন্স থাকতে হবে।

৭. ইউলুপ বৃদ্ধি, পথ সেতুসহ সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। যাতে ভাঙা পথ, ভাঙা সেতু আর ভাঙা কালভার্টের কারণে আর কোনো প্রাণ দিতে না হয়।  

Link copied!