আমার সংবাদ ডেস্ক
জুলাই ৫, ২০২৫, ১২:১৫ পিএম
২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সম্ভাব্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গাইবান্ধা-৫ (সাঘাটা-ফুলছড়ি) আসনে বাড়ছে রাজনৈতিক তৎপরতা। তবে আলোচিত এই আসনে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী এখনো মাঠে না থাকায়, নির্বাচনী উত্তাপ তৈরি করছেন বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলো।
আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে প্রচারে নেমেছেন চারজন—জেলা বিএনপির সহসভাপতি আলহাজ্ব নাহিদুজ্জামান নিশাদ, সহসভাপতি ফারুক আলম সরকার, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও শিল্পপতি অ্যাডভোকেট নাজেমুল ইসলাম নয়ন এবং ময়নুল ইসলাম শামীম। কেউ কেউ এলাকায় গণসংযোগের পাশাপাশি সামাজিক-ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন, আবার কেউ আছেন সোশ্যাল মিডিয়াতেও সরব।
জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে গাইবান্ধা জেলা সেক্রেটারি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়ারেছ আলীকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। তিনি ইতোমধ্যে দলীয়ভাবে প্রচারণা শুরু করেছেন।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন জেলা সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান। দলটির কর্মীরাও মাঠপর্যায়ে প্রচারণায় তৎপর।
জাতীয় পার্টিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল এখনো আনুষ্ঠানিক অবস্থান না জানালেও জোটগত আসন বণ্টন বা একক প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত গাইবান্ধা-৫ আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৬৬ হাজার ৬৬৪ জন। আসনটির রাজনৈতিক ইতিহাসও কম রঙিন নয়—অনেক বছর জাতীয় পার্টির দখলে থাকার পর ২০০৮ সালের নির্বাচনে জয় পায় আওয়ামী লীগ। তবে এবার ভিন্ন এক প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে।
স্থানীয়দের প্রত্যাশাও পাল্টেছে। ভোটার আব্দুল্লাহ আল মমিন বলেন, এবার হবে সত্যিকারের প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন। আমরা এমন কাউকে চাই, যিনি বাস্তব উন্নয়ন করবেন।
রুমানা খাতুনের ভাষায়, প্রার্থী যত আসুক, আমরা দেখব কে সত্যিকার অর্থে এলাকার জন্য কাজ করতে পারবেন।
ফারুক হোসেন বলেন, এলাকায় এখন থেকেই নির্বাচনী উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে বাড়ি বাড়ি গিয়ে শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। উঠান বৈঠক, ছোট পরিসরে সভা-সেমিনার ও ঘরোয়া প্রচারণায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রস্তুতি। সব মিলিয়ে ভোটের ঢেউ আগেভাগেই লেগেছে গাইবান্ধা-৫ আসনের মাঠে।
বিআরইউ