ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ইসলামপুরে কবিরাজির নামে প্রতারণা

রোকনুজ্জামান সবুজ, ইসলামপুর (জামালপুর)

রোকনুজ্জামান সবুজ, ইসলামপুর (জামালপুর)

আগস্ট ৩, ২০২৫, ০৩:৪৫ পিএম

ইসলামপুরে কবিরাজির নামে প্রতারণা

চটকদার প্রচারণা আর "সব মুশকিলের সমাধান"—এমন নানা লোভনীয় কথার ফাঁদে ফেলে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় ‘জ্বীনের বাদশা’ সেজে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করে আসছেন এক ভুয়া কবিরাজ।

উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কামারপাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দুর জামানের ছেলে ফজলু হক আকন্দ নিজ বাড়িতেই প্রায় পাঁচ বছর ধরে কবিরাজির আসর বসিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

তিনি নিজেকে ‘জ্বীনের সাহায্যে চিকিৎসক’ দাবি করে সন্তানহীনতা, গোপন রোগ, দাম্পত্য কলহ, প্রেমে ব্যর্থতা, বিয়ে না হওয়া, কুফরি বা বাণ ইত্যাদি সমস্যার সমাধান দেয়ার আশ্বাস দিয়ে মোটা অঙ্কের অর্থ আদায় করছেন।

স্থানীয়রা জানান, ফজলু হক তার স্ত্রী ও ভাগিনাকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ির ভেতরে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম চালান। জামালপুর ছাড়াও পাশ্ববর্তী জেলা থেকেও রোগী আসছেন তার কাছে। তাবিজ-কবজ, পানি পড়া, ঝাড়ফুঁক—এসব উপায়ে তিনি মানুষকে চিকিৎসা দেয়ার নামে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছেন।

গোবিন্দগঞ্জ বাজারের একাধিক ব্যক্তি জানান, ফজলু হক আগে একটি টেইলার্স দোকানে কাজ করতেন। পরে কবিরাজির নামে নিজের পরিচিতি গড়ে তোলেন এবং এখন সেই পরিচয়ের সুযোগ নিয়ে সহজ-সরল মানুষকে প্রতারিত করছেন। ঝাড়ফুঁক বা পানি পড়া দিয়ে কোনো সমস্যার সমাধান হয় না—এটি তারা বহুবার প্রত্যক্ষ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ভুক্তভোগী জানান, “কেউ বলেছেন পানি পড়া নিলে সন্তান হবে, কেউ বলেছেন তাবিজে দাম্পত্য কলহ মিটবে। কিন্তু কিছুই হয়নি। বরং হাজার হাজার টাকা খরচ করে ঠকেছি।”

তারা আরও বলেন, “এভাবে আর কতদিন চলবে? আমরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাই—এই ভুয়া ‘জ্বীনের বাদশা’ ও কথিত কবিরাজের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।”

ভুয়া কবিরাজির অভিযোগ প্রসঙ্গে ফজলু হক আকন্দ বলেন, “আল্লাহর রহমতে অনেকেই উপকার পায়। আমি গাছের ওষুধ, ঝাড়ফুঁক, তাবিজ, পানি পড়া দিয়ে থাকি। রোগী নিজের ইচ্ছায় আসে। আমি হাদিয়া নিই, সেটাই আমার পেশা। আমার ট্রেড লাইসেন্স ও কবিরাজির লাইসেন্স আছে।”

এ বিষয়ে ইসলামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বলেন, “এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগ পেলে অবশ্যই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ইএইচ

Link copied!