আমার সংবাদ ডেস্ক
আগস্ট ৫, ২০২৫, ১২:২২ পিএম
‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বরাদ্দ দেওয়া বিশেষ ট্রেনটি ঘণ্টাখানেক বিলম্বে রাজশাহী রেলস্টেশন ছেড়ে গেছে। একই সময়ে ছেড়ে গেছে ঢাকা-গামী সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনও।
মঙ্গলবার সকাল ৭টা ২০ মিনিটে বিশেষ ট্রেন ছাড়ার কথা থাকলেও যাত্রা শুরু হয় সকাল ৮টা ১৩ মিনিটে। আর সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৭টা ৪০ মিনিট, কিন্তু সেটিও ছাড়ে ৮টা ২৫ মিনিটে।
এর আগে সকাল সোয়া ৭টার দিকে রাজশাহী স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা। পরে তারা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটিও আটকে দেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, রেল বিভাগ যে বিশেষ ট্রেনটি বরাদ্দ দিয়েছে, সেটি যাত্রার উপযোগী নয়। তাদের দাবি, ট্রেনটি ধীরগতির এবং লোকাল মানের হওয়ায় এতে করে সময়মতো ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব নয়। এ কারণে তারা ‘ভালো ট্রেন’ ও মানসম্পন্ন বগির দাবিতে রেললাইনে অবস্থান নেন।
এ সময় আন্দোলনকারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এক পক্ষ রেল বিভাগের বরাদ্দকৃত বিশেষ ট্রেনে ঢাকা রওনা দেন, অপর পক্ষ পরে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনে করে রওনা হন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শুভ আহমেদ বলেন, “আমাদের যেই ট্রেনটি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, সেটা একদমই লোকাল ট্রেন। এক সিটে পাঁচ-ছয়জন করে বসে যেতে হবে। এছাড়া এতে করে সময়মতো ঢাকায় পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাই আমরা ভালো ট্রেনের দাবিতে অবস্থান নিয়েছিলাম।”
এ বিষয়ে রাজশাহী রেলস্টেশন ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, “বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। বরাদ্দ দেওয়া ট্রেনগুলো যথেষ্ট মানসম্মত ছিল। মূলত একটি ভুল বোঝাবুঝি থেকেই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল।”
জানা গেছে, ঢাকাগামী এই বিশেষ ট্রেনটি রাজশাহী ছাড়াও পাবনা-ঈশ্বরদী, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন স্টেশন থেকে শিক্ষার্থীদের নিয়ে ঢাকায় পৌঁছাবে।
ইএইচ