ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্কের টিকা, বিপাকে আক্রান্তরা

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি

আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০১:৪২ পিএম

হাসপাতালে মিলছে না জলাতঙ্কের টিকা, বিপাকে আক্রান্তরা

যশোরের অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে মিলছে না বিনা মূল্যে জলাতঙ্ক (র‌্যাবিস ভ্যাকসিন) রোগের টিকা। চড়া মূল্যে ফার্মেসি থেকে টিকা ও সিরিঞ্জ কিনতে হচ্ছে রোগীদের। যে কারণে বিপাকে পড়ছেন আক্রান্ত অনেকেই।

হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা বলেন, জলাতঙ্ক রোগের টিকা বা ভ্যাকসিনের মজুদ শেষ হওয়ার আগেই সরবরাহ করা প্রয়োজন ছিল। মজুদ শেষ হওয়ায় টিকাদান বন্ধ রাখা হয়েছে। পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের এই মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বুধবার সকালে সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেছে, দায়িত্বরত স্বাস্থ্যকর্মীর টেবিলে নোটিশ লেখা রয়েছে, ‘জলাতঙ্ক (র‌্যাবিস ভ্যাকসিন) রোগের টিকা সরবরাহ সাময়িক বন্ধ থাকায় দুঃখিত। আক্রান্ত রোগীদের নিজ দায়িত্বে টিকা কেনার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ সেই নোটিশ দেখিয়ে বাইরে থেকে টিকা কেনার পরামর্শ দিচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। কুকুর ও বিড়ালের কামড়-হাঁচড়ে আক্রান্ত কয়েকজন রোগী জরুরি বিভাগে বসে রয়েছেন। চারজন রোগীকে একত্রিত হয়ে এক ভাওয়েল ভ্যাকসিন কিনতে হচ্ছে। টিকা না থাকায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন তারা।

কুকুরের কামড়ের শিকার উপজেলার ধোপাদী গ্রামের সাত বছর বয়সী সোহানের বাবা মেহেদি ইসলাম বলেন, ‘বাড়ির সামনে খেলা করার সময় ছেলেকে কুকুরে কামড়ায়। দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে জানতে পারি টিকা শেষ হয়ে গেছে। আরো তিনজন রোগীর অপেক্ষায় জরুরি বিভাগে বসে আছি।’

উপজেলার গুয়াখেলা গ্রামের মীর আলী সর্দার (৪০) বলেন, ‘বাড়ির পোষা বিড়াল কামড় ও আঁচড় দিয়েছে। ভ্যাকসিন নিতে এসে শুনি তা শেষ হয়ে গেছে। এক ঘণ্টা অপেক্ষার পর চারজন রোগী হয়েছে। হাসপাতালের সামনে একটি ফার্মেসি থেকে ৪৬০ টাকায় এক ভাওয়েল টিকা কিনেছি। চারটি সিরিঞ্জও কিনতে হয়েছে। চারজন রোগীকে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। অসচ্ছল পরিবারের জন্য এই টিকা ও সিরিঞ্জ কেনা কষ্টের ব্যাপার। দুঃখের বিষয় সরকারি হাসপাতালে জলাতঙ্কের টিকা নেই।’

এ বিষয়ে অভয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজিব বলেন, ‘২০২৪-২৫ অর্থবছরে উপজেলা পরিষদ থেকে ৬৪০ ভাওয়েল (পিস) ভ্যাকসিন পেয়েছিলাম। এক ভাওয়েল ভেঙে চারজন রোগীকে টিকা দেওয়া হয়েছে। একজন রোগীকে তিনবার টিকা দিতে হয়। টিকা শেষ হওয়ায় আক্রান্ত অনেক রোগী ফিরে যাচ্ছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে।’

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পার্থ প্রতিম শীল বলেন, ‘জলাতঙ্কের টিকা (র‌্যাবিস) শেষ হওয়ার খবর পেয়েছি। নতুন করে টিকা কেনার প্রক্রিয়া চলছে।’

জেএইচআর

Link copied!