ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম
ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের শিমুলতলী মোড় থেকে উচাখিলা বাজার পর্যন্ত প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়কের অধিকাংশ অংশের পিচ উঠে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছে ইটের খোয়া।
সড়কজুড়ে অসংখ্য গর্তের কারণে সামান্য বৃষ্টিতেই পানি জমে যায়, গভীরতা বোঝা না যাওয়ায় প্রায়ই ঘটে দুর্ঘটনা। এতে উল্টে যাচ্ছে যানবাহন, আহত হচ্ছেন যাত্রী ও পথচারীরা।
স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও যাত্রীদের অভিযোগ—দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির এই করুণ অবস্থা থাকলেও সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ কার্যকর সংস্কারের উদ্যোগ নেয়নি।
ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকা ছাড়াও উচাখিলা, বড়হিত ও রাজিবপুর ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াতের প্রধান পথ এটি। প্রতিদিন প্রায় ৪০-৫০ হাজার মানুষ এই সড়ক ব্যবহার করেন। কৃষিপণ্য পরিবহন, হাটে যাওয়া-আসা ও জরুরি রোগী পরিবহনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হওয়া সত্ত্বেও বছরের পর বছর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীর।
সরেজমিন দেখা যায়— শিমুলতলী মোড় থেকে জয় বাংলা মোড় পর্যন্ত প্রায় ৮০০ মিটার সড়ক বড় বড় গর্তে ভরা। কোথাও গভীর গর্তে অটোরিকশা আটকে যাচ্ছে। একইভাবে হরিয়াখালী মোড় থেকে আলীনগর কারিগরি ও বাণিজ্যিক কলেজ পর্যন্ত আড়াই কিলোমিটার সড়কেও খানাখন্দে ভরা বিপজ্জনক অবস্থা বিরাজ করছে।
স্থানীয়দের দাবি, এসব অংশে প্রায় প্রতিদিনই দুর্ঘটনা ঘটে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালক মালেকুল ইসলাম বলেন, “আগে এই পথ ২০-২৫ মিনিটে পাড়ি দেওয়া যেত, এখন লাগে ৩৫-৪০ মিনিট। গাড়ির যন্ত্রাংশও ঘনঘন নষ্ট হয়।” শিক্ষার্থী ও যাত্রীরা জানান, গর্তে জমা কাদা-পানিতে পোশাক নষ্ট হয়, যাত্রা হয় কষ্টকর।
২০০০ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সড়কটি পাকাকরণ করলেও বর্তমানে এটি সওজের আওতায়। কয়েক বছর আগে নামমাত্র সংস্কারের পর দ্রুত আবারও নাজুক হয়ে পড়ে।
ময়মনসিংহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বলেন, বর্ষা শেষে গর্তগুলো ইটের সুরকি দিয়ে ভরাট করা হবে এবং আগামী অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া গেলে পুরো সড়ক সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
ইএইচ