ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

ইটনায় খেলাকে কেন্দ্র করে ইউএনওর বাসভবনে হামলা

রায়হান জামান, কিশোরগঞ্জ

রায়হান জামান, কিশোরগঞ্জ

আগস্ট ১৪, ২০২৫, ০৬:৩১ পিএম

ইটনায় খেলাকে কেন্দ্র করে ইউএনওর বাসভবনে হামলা

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় খেলাকে কেন্দ্র করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনের সামনে হামলা ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ইউএনও বাসভবনে কর্মরত আনসার সদস্য বাদী হয়ে থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

বুধবার বিকালে ইটনা মিনি স্টেডিয়ামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কিছুদিন আগে উপজেলার সদরের ইউনিয়নের কয়েকজন যুবক উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া একটি অস্থায়ী আইনশৃঙ্খলা কমিটি গঠন করে টুর্নামেন্ট আয়োজন করে। 

অভিযোগ রয়েছে, খেলাকে কেন্দ্র করে জুয়া খেলার মতো অবৈধ কার্যক্রম চলছিল। তদন্তের স্বার্থে ইউএনও টুর্নামেন্ট বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন পুলিশকে।

ঘটনার দিন খেলার সময় ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর ইকবাল মাঠে গিয়ে ইউএনওকে জানান, অনুমতি ছাড়া কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করা যাবে না। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই ৩-৪ শতাধিক মানুষ মিছিল নিয়ে ইউএনও অফিসে যায়। ইউএনওকে না পেয়ে তারা বাসভবনের সামনে গিয়ে হট্টগোল, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং দায়িত্বরত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি করে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. ফজলুর রহমান পটল বলেন, “হঠাৎ কয়েকশো মানুষ এসে হট্টগোল শুরু করে। আমরা বুঝিয়ে সরালেও তারা আনসার ও পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। তখন ইউএনও বাসায় ছিলেন না, তবে তার পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিল।”

ইটনা থানার ওসি জাফর ইকবাল জানান, আনসার সদস্য বাদী হয়ে মামলা করেছেন। সদর ইউনিয়নের বড় হাটির বাসিন্দা হাজী খুরশিদ মিয়ার ছেলে হাফেজ আব্দুর নূরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।

ইউএনও মোহাম্মদ রায়হানুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয়রা চেয়েছিল মাঠে কোনো অবৈধ কার্যক্রম বা বড় টুর্নামেন্ট না হোক। আমি জানিয়েছিলাম বড় খেলা হলে আমাকে জানাতে এবং মাঠ রক্ষার্থে বিরতি দিয়ে খেলার অনুমতি নিতে হবে। কিন্তু তারা নির্দেশ অমান্য করে খেলা চালিয়ে গেলে পুলিশ বাধা দেয়। এরপর তারা উপজেলা অফিস ও আমার বাসভবনে হামলা চালায় এবং দায়িত্বরত সদস্যদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। আমি বাসায় ছিলাম না, তবে আমার পরিবার জীবনের ঝুঁকিতে পড়ে। বিষয়টি নিন্দনীয়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ইএইচ

Link copied!