মধ্যনগরে উড়াল রেলপথ নির্মাণের দাবি

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলায় পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধি এবং ধান-মাছ দ্রুততম সময়ে রাজধানীতে পৌঁছানোর সুবিধা নিশ্চিত করতে হাওরে উড়াল রেলপথ নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন এক স্থানীয় বাসিন্দা।

মধ্যনগরের দশটি মৌজার অধিক ভূমি নিয়ে গঠিত টাঙ্গুয়া হাওর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম হাওর পর্যটনকেন্দ্র। 

পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলায় রয়েছে খনিজ সম্পদের উৎস।

এ ছাড়া এ অঞ্চল দেশের অন্যতম ধান উৎপাদন এলাকা, মাছের অভয়ারণ্য এবং চুনাপাথর ও কয়লার শুল্ক স্টেশন হিসেবে পরিচিত।

তবুও এই হাওরাঞ্চলে নিরাপদ ও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় পর্যটন খাত পিছিয়ে আছে। প্রকৃতিময় মধ্যনগরে রয়েছে ১৫টিরও বেশি হাওর, যা ধান ও মাছের ভাণ্ডার।

মোহনগঞ্জ–ধর্মপাশা–মধ্যনগর হয়ে তাহিরপুর সীমান্ত পর্যন্ত উড়াল রেলপথ নির্মাণের দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন কবি অসীম সরকার। তিনি মনে করেন, এতে দেশ-বিদেশ থেকে আগত পর্যটকরা সহজে হাওরের সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন এবং সময়ও বাঁচবে। একইসঙ্গে হাওরের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সড়কের মতো উড়াল রেলপথ নির্মাণই হবে যৌক্তিক পদক্ষেপ।

বর্তমানে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পর্যন্ত রেল সংযোগ রয়েছে। মোহনগঞ্জ থেকে মধ্যনগরের স্থলপথে দূরত্ব মাত্র ২০ কিলোমিটারের বেশি হলেও রেলযোগাযোগ হলে সময় অনেকটাই কমে আসবে।

সরকারের রাজস্ব আয়, হাওরের পানির স্বাভাবিক প্রবাহ, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা এবং বেকারদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা বিবেচনায় এনে এই ব্যতিক্রমী দাবি তুলেছেন অসীম সরকার।

গত ১৮ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালকের কাছে এ সংক্রান্ত আবেদন জমা দেন। অনুলিপি পাঠানো হয়েছে সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা, সড়ক ও সেতু উপদেষ্টা, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকসহ ধর্মপাশা, মধ্যনগর ও তাহিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাদের নিকট।

এ নিয়ে স্থানীয়দের পাশাপাশি নেটিজেনরাও সহমত প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, দাবিটি দ্রুত বাস্তবায়ন হলে হাওরবাসীর ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে।

ইএইচ