সজিবুর রহমান, গোবিপ্রবি
আগস্ট ২১, ২০২৫, ০৩:৪২ পিএম
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই র্যাগিং একটি নিন্দনীয় প্রথা হিসেবে বিদ্যমান। নতুন শিক্ষার্থীদের শারীরিক, মানসিক ও সামাজিকভাবে হয়রানি করা এই কার্যক্রম শুধু তাদের পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট করে না, অনেক সময় তা ভয়াবহ পরিণতিরও দিকে ঠেলে দেয়।
ইতোমধ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে র্যাগিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা বিপর্যস্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যা অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
এই প্রেক্ষাপটে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোবিপ্রবি) প্রশাসন র্যাগিং প্রতিরোধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রয়োজনে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ র্যাগিংকে অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। পাশাপাশি কমিটি গঠন, সচেতনতামূলক কার্যক্রম ও নিয়মিত টহলের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব বলেন, “র্যাগিং বন্ধ করার জন্য আমাদের একটি কমিটি আছে। অতি দ্রুতই কমিটির পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হবে। ইউজিসি থেকে মাদক ও শৃঙ্খলা বিষয়ক সেমিনার আয়োজনের নির্দেশনা আছে, যেখানে র্যাগিং বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত করা হবে, কারণ এটি আইন-শৃঙ্খলার মধ্যে পড়ে।”
সহকারী প্রক্টর আরিফুল ইসলাম বলেন, “ক্লাস চলাকালে আমরা প্রক্টরিয়াল বডি দিয়ে নিয়মিত টহল দিচ্ছি এবং শিক্ষার্থীদের র্যাগিং ও মাদকের ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে কাউন্সেলিং করছি। যদি কোনো শিক্ষার্থী র্যাগিংয়ে জড়িত অবস্থায় ধরা পড়ে, আমরা তার সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করব। এ শাস্তির মাধ্যমে অন্য শিক্ষার্থীদের সচেতন করাও আমাদের লক্ষ্য।”
তিনি আরও বলেন, “র্যাগিংয়ের ভুক্তভোগী কোনো শিক্ষার্থী যথাযথ প্রমাণসহ আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে আমরা অপরাধীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব।”
ইএইচ