নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২০, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ২০, ২০২৫, ০২:৫৬ পিএম
রাজধানীর বাজারে গরুর মাংসের দামে আগুন লেগেছে। প্রতি কেজি মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকায়, যা মধ্যবিত্ত ও স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন গরুর মাংস থেকে।
তুলনামূলকভাবে কম দামে পাওয়া যাচ্ছে ব্রয়লার ও অন্যান্য জাতের মুরগি, তাই বাজারে মুরগির মাংসের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের। অন্যদিকে, মাছের বাজার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল থাকায় স্বস্তিতে আছেন ভোক্তারা।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর নিউমার্কেট ও পলাশী বাজার ঘুরে এবং বিক্রেতা ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৩০-২৪০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০-৫৫০ টাকা, সাদা লেয়ার ২৩০ টাকা ও লাল লেয়ার ২৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের দাম পিসপ্রতি ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা পর্যন্ত।
মুরগি বিক্রেতারা জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক সময়ে মুরগির বিক্রি বেড়েছে। দাম কম হওয়ায় অনেকেই বেশি পরিমাণে কিনে সংরক্ষণ করছেন।
মুরগি বিক্রেতা শফিকুল বলেন, “বাজার অস্থির। কেউ আর মুরগি ধরে রাখতে চায় না। রাখতে গেলে প্রতিদিন কয়েকটি করে মরে যাচ্ছে। তাই একটু কম দামেই বিক্রি করছি—১৬০-১৭০ টাকা কেজি।”
বাজারে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা কেজিতে। খাসির মাংসের দাম আরও বেশি—প্রতি কেজি ১ হাজার ২৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ১ হাজার ১০০ টাকা।
নিউমার্কেট বাজারে দেখা যায়, অনেকেই সামান্য পরিমাণ গরুর মাংস কিনলেও তুলনামূলকভাবে মুরগি ও মাছের দিকেই ঝুঁকছেন বেশি।
কাঞ্চন নামের এক ব্যাবসায়ী বলেন, “গরুর মাংসের দাম অনেক বেশি। তাই মুরগিই নিচ্ছি। বাচ্চারাও মুরগির মাংস বেশি পছন্দ করে।”
গৃহিণী কামরুন নাহার বলেন, “এক কেজি গরুর মাংস নিয়েছি ৮০০ টাকায়। দাম খুব বেশি মনে হয়েছে, কিন্তু কিছু করার নেই। বিক্রেতারা বলছে—নিলে নেন, না নিলে চলে যান।”
মাছের বাজার তুলনামূলকভাবে স্থিতিশীল। বাজারে রুই বিক্রি হচ্ছে ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি, কাতল ৩৪০-৪০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০-৮০০ টাকা, টেংরা ৬০০-৭০০ টাকা, শিং ও মাগুর (চাষের) ৫০০ টাকা, কৈ (চাষের) ২০০-২৫০ টাকা, কোরাল ৭৫০ টাকা, পাঙাশ ১৮০-২২০ টাকা এবং তেলাপিয়া ১৫০-২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া প্রতি কেজি বোয়াল বিক্রি হচ্ছে ৬০০-৭০০ টাকা, পোয়া ৪০০ টাকা, আইড় ৭০০-৭৫০ টাকা, দেশি কৈ ৮০০-১,০০০ টাকা এবং দেশি শিং ১,০০০-১,২০০ টাকায়।
মাছ বিক্রেতা বোরহান জানান, “মাছের দামে খুব বেশি পরিবর্তন নেই। কিছু মাছের দাম কমেছে, কিছু বেড়েছে। তবে বিক্রি ভালো হচ্ছে।”
ইএইচ