ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

পদ্মা চরের তোলা হচ্ছে ধনিয়া পাতা, যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান 

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি

আগস্ট ১৯, ২০২৫, ১২:৫০ পিএম

পদ্মা চরের তোলা হচ্ছে ধনিয়া পাতা, যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থান 

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার পদ্মার চরে উৎপাদিত ধনিয়া পাতা, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলায় রপ্তানি হচ্ছে। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে ১০ হেক্টর জমিতে ধনিয়া পাতার আবাদ হয়েছে। ব্যাপক চাহিদা হওয়ায় আগামী শীত মৌসুমে এর উৎপাদন আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। 

সোমবার গোয়ালন্দ উপজেলার ১নং দৌলতদিয়া ও ৪ নং উজানচর ইউনিয়নের চর করনেশন, মজলিসপুর, দেবীপুর, মহিদাপুর কচালিয়া এলাকার পদ্মার চর ঘুরে শতশত নারী পুরুষ কৃষাণ কৃষাণীকে ক্ষেত থেকে ধনিয়া পাতা, তুলে বিভিন্ন জেলায় রপ্তানির জন্য প্রস্তুত করতে দেখা যায়। ধনিয়া সাধারণত মসলা জাতীয় ফসল। কিন্তু সবজি হিসেবে এর সবুজ পাতার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে দেশজুড়ে। সবজি জাতীয় তরকারির সাথে ইহা রান্না করে খাওয়া হয়। রাজধানী ঢাকা, মানিকগঞ্জ, পাবনা, ফরিদপুর, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় এই ধনিয়া পাতা গোয়ালন্দের চরাঞ্চল থেকে রপ্তানি করা হচ্ছে। ক্ষেতে কর্মরত কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবিঘা ধনিয়া পাতা উৎপাদনে ২৫/৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। জমি চাষ, সার, কীটনাশক, সেচ এবং সর্বশেষ ক্ষেত থেকে তুলে বাজারজাত করন পর্যন্ত এ খরচ হয়ে থাকে। আর ১ লক্ষ থেকে দেড় লক্ষ টাকা ধনিয়া পাতা বিক্রি হয়। তবে বর্ষা মৌসুমে উৎপাদন খরচ তুলনা মূলক একটু কম হয়। ক্ষেতে বপনের পর গজিয়ে ওঠার মাত্র ৩৫-৪০ দিন পর সবুজ ধনিয়া পাতা বিক্রি করা যায়। সারা বছরই এ ধনিয়া পাতা চাষ করা হয় বলে কৃষকরা জানান।

এসময় ধনিয়া পাতার ঘ্রাণ বাতাসে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ব্যাপারীর পুরা ক্ষেত ধরে ধনিয়া পাতা কিনে নেয়। এরপর তারা লোকজন দিয়ে তুলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যায়। 

এ সময় কৃষক পূর্ব উজানচর মজলিশ পুরের মো. জুহাস মোল্লা, শামসু মোল্লা, দক্ষিণ দৌলতদিয়ার বেলাল শেখ বলেন, বর্ষা মৌসুমে ধনিয়া চাষে খরচ একটু কম হয়। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি ও পোকার আক্রমণে কখনও কখনও আসল খরচও তোলা সম্ভব হয় না। তবে আবহাওয়া ও অন্যন্যা পরিবেশ অনুকূল থাকলে ভালোই লাভ হয়।

সরেজমিনে পদ্মার তীরবর্তী চরে গিয়ে দেখা যায়, প্রতিটি জমিতে ২০-৩০ নারী পুরুষ মিলে ধনিয়া পাতা তুলছে। তারা সারিবদ্ধভাবে বসে ধনিয়া পাতা তুলে ছোট ছোট মোটা বা আঁটি বেঁধে স্তূপ করে রাখছে। পরবর্তীতে ঘোড়ার গাড়ি বা ভ্যানে করে নৌকা তুলছে। নৌকায় পদ্মা নদী পার করে বেপারীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাচ্ছে। এ সময় আইয়ুব ব্যাপারী ও ফরিদ ব্যাপারী বলেন, আমরা কৃষকদের কাছ থেকে ক্ষেত ধরে ১বিঘা ধনিয়া পাতা ৯০ থেকে এক লক্ষ টাকায় কিনে নেই। এরপর বাজারে নিয়ে ২৫০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করি। সরকারি সহায়তা পেলে আমরা আরো উৎপাদন বৃদ্ধি করে আরো বেশী লাভবান হতে পারবো।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৈয়দ রায়হানুল হায়দার বলেন, ধনিয়া পাতা চাষ গোয়ালন্দের কৃষকদের জন্য একটি সম্ভাবনাময় ফসল। এ বছর ১০ হেক্টর জমিতে ধনিয়া পাতা চাষ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে কৃষকদের মতবিনিময় করে ধনিয়াপাতা উৎপাদন আরো বেশী হওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি। যাতে তারা লাভবান হতে পারে। সে বিষয়ে আমরা নজরদারি করে চলেছি।

জেএইচআর

Link copied!