ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা রবিবার, ০৩ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

‘অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শে উজ্জীবিত হওয়া ৫১তম বিজয় দিবসের বড় অর্জন’

ঢাবি প্রতিনিধি

ঢাবি প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১৯, ২০২২, ০৭:৩৬ পিএম

‘অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শে উজ্জীবিত হওয়া ৫১তম বিজয় দিবসের বড় অর্জন’

অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শে উজ্জীবিত হওয়া ৫১তম বিজয় দিবসের সবচেয়ে বড় অর্জন বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি ) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান।

সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার মিলনায়তনে আয়োজিত ‍‍`সম্প্রীতি বাংলাদেশে‍‍`র উদ্যোগে সম্প্রতি সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন।

প্রগতিশীল শক্তির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে সামনে রেখে অসাম্প্রদায়িক দেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যেই পাঁচ বছর আগে প্রতিষ্ঠা এই সম্প্রীতি বাংলাদেশের। নিজ ধর্মকে ভালোভাবে জানা, অন্যের ধর্মকে সম্মান জানানো, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলেই মানুষ এটা মনে প্রাণে ধারণ করাই  সম্প্রীতি বাংলাদেশের মূল কথা।

চন্দ্রনাথ পোদ্দারের সঞ্চালনায়, প্রীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভাপতিত্বে সম্মেলনের উদ্ভোধন করেন, ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। এসময় ‍‍`সম্প্রীতির বাংলাদেশ‍‍` নামক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন-ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন।

ঢাবি ভিসি অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান বলেন, সবচেয়ে নিরপেক্ষ টার্ম হচ্ছে ধর্ম, যা সবাইকে ধারণ করে। আগে ধর্ম আসে, পরে আসে পার্থক্য। একটা শিশু জন্মগ্রহণ করার পর মা বাবার অবর্তমানে সহোদর দ্বারা তার ধর্মীয় পরিচয় লাভ করে। সকল ধর্মেই রেলিজিয়াস সেক্টর এবং সাব-সেক্টর আছে। কিন্তু এটা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি করা যাবে না। যে ব্যক্তি নিজের ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, সে নিঃসন্দেহে অন্য ধর্মের প্রতিও শ্রদ্ধাশীল।

সভ্যতায় সবচেয়ে বৃহৎ পরিবর্তন এসেছিলো সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে, ধর্মীয় কারণে নয়। এ জন্যই ধর্মকে রেখে একটি নিউট্রাল বা কমন ভ্যালুকে ভিত্তি করে মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলার মাটি,পরিবেশই সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন গোষ্ঠী এখানে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াতে চেষ্টা করেছে। কিন্তু তা কখনো সফল হয়নি।

তিনি আরো বলেন, তথাকথিত উন্নত দেশ, যেখানে কিনা মানুষের মাথা নয় মিনিট হাটুতে চেপে মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়, স্কুলে বন্দুক চালিয়ে  শিশুদের হত্যা করে। সেসব দেশের লোকের মুখে যখন মানবতার কথা শুনি,অনেক অবাক লাগে। এখন উন্নত বিশ্বগুলো বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নের প্রশংসা করে থাকে।

সভাপতির বক্তব্যে প্রীযূষ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, অসাম্প্রদায়িকতার কথা মুখের বুলি হলে হবে না, এটাকে অন্তরে ধারণ করতে হবে। বিশ্বাস হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। নিজের জীবনে চর্চা করে যেতে হবে। বাঙালির হাজার বছরের পথচলার পিছনে মূল ভূমিকা হলো অসাম্প্রদায়িকতার, সম্প্রীতির। সুন্দর জীবনের জন্য, বিশ্বের সাথে নিজেকে মেলানোর জন্য, সবাইকে সংস্কৃতিকে ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করার আহবান ব্যাক্ত করেন।

এসময় তিনি বিমান চন্দ্র বড়ুয়াকে আহবায়ক করে, সদস্য সচিব হন ড. মোহাম্মদ বাহাউদ্দীন।  চন্দনাথ পোদ্দার, অবির সরকার আমজাদ হোসাইন, এস এম মফিজুর, আকলিমা ইসলাম, মাহবুবুর রহমান, ডি রোজারিও, মিস ফারজানা, নৌরিন, কিরণ বাড়ৈ, শিল্পী সাহাকে সাধারণ সদস্য করে এক বছরের জন্য কমিটি ঘোষণা করেন।

সম্মেলনে আরো বক্তব্য রাখেন-কলা ভবনের ডিন অধ্যাপক জিয়া রহমান, বিশ্বধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ফাদার তপন ডি রোজারিও, অতিরিক্ত সচিব আব্দুল আউয়াল হাওলাদার, ভিক্ষু সুনন্দপ্রিয় প্রমূখ।

এআই 

Link copied!