Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

অবশেষে গণরুমেই ঠাঁই হলো নবীনদের

জাবি প্রতিনিধি

জাবি প্রতিনিধি

জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০৮:০২ পিএম


অবশেষে গণরুমেই ঠাঁই হলো নবীনদের

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে উচ্চ শিক্ষার জন্য ছুটে আসা ১ম বর্ষের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর ঠাই হয়েছে জাবি’র গনরুমে। দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে থাকার জায়গা নেই তাদের। ক্লান্ত শরীরে  গনরুমেই  বিশ্রাম করতে দেখা যায়। 

সোমবার (৩০ ফেব্রুয়ারি) রাতে এমন চিত্র দেখা গেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে।

এ চিত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় প্রতিটি হলেই দেখা গেছে। গত সোমবার ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে ৫১ ব্যচে ভর্তি হওয়া প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীর থাকার জায়গা না করেই ক্লাস শুরু করে দিয়েছে প্রশাসন। দেশের একমাত্র আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষার্থীরা আবাসন সুবিধা পাওয়ার কথা ছিল। 

কিন্তু পরিবার পরিজন ছেড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে করুণ পরিস্থিতির মুখামুখি হতে হলো তাদেরকে। রাত কাটাতে হবে গণরুমের মেঝেতে বিছানা পেতে। তাও কোন কোন হলে সে জায়গাটুকুও হয়নি। যেসব রুমকে গণরুম হিসেবে ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে, তা মূলত থাকার জায়গা না। 

হলগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গণরুম হিসেবে ব্যবহৃত এসব রুম মূলত রিডিং রুম, গেস্ট রুম, রান্না করার রুম, হল সংসদের রুম, টিভির রুম, পত্রিকা পড়ার রুম, ডাইনিং ও ক্যান্টিনের রুম। আর এসব রুমেই ঠাঁই হয়েছে ১ম বর্ষের এসব শিক্ষার্থীদের। 

হল প্রশাসন বলছে, এসব রুমেই ১ম বর্ষের প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থীকে থাকতে হবে এক বছরের মতো।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশের ৪০ ধারা অনুযায়ী প্রত্যেক শিক্ষার্থীর আবাসিক হলেই অবস্থান করার কথা। বিশেষ কোনো কারণ ছাড়া এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের বিশেষ অনুমোদন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে পারবে না। হলের আসন সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই শিক্ষার্থী ভর্তি করতে হবে। 

অথচ গত কয়েকবছর ধরে আবাসনের ব্যবস্থা না করে অপরিকল্পিতভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে। তাই নতুন হল নির্মাণ করেও এ সমস্যার সমাধান করা যাচ্ছে না। এবং কয়েকদিন আগে উদ্ভোদন হওয়া ২১নং হলেও ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদেরকে উঠানো হয়নি।

হল প্রশাসন বলছে, ‘অনেক আগে পড়াশুনা শেষ করা বহু সাবেক শিক্ষার্থী হলে সিট দখল করে আছে। বার বার সিট ছেড়ে দিতে বললেও তাদের টনক নড়ছে না। যার কারণে আবাসন সমস্যা আরো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

তবে ইতিপূর্বে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বলেছেন, ‘নবনির্মিত হল উদ্ভোধন করলে আবাসন সংকট কমে যাবে এবং গণরুম সাংস্কৃতি উঠে যাবে।’

আরএস
 

Link copied!