Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪,

জাবিতে পাখি মেলা অনুষ্ঠিত

জাবি প্রতিনিধি

জাবি প্রতিনিধি

ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৭:৩৩ পিএম


জাবিতে পাখি মেলা অনুষ্ঠিত

প্রকৃতির অপার লীলাভূমি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর শীতে পাখিরা বেড়াতে আসে। পুরো শীতকাল জুড়ে তাদের কলতানে মূখরিত থাকে জাবির আকাশ বাতাস। লেকগুলোর পাড়ে পাখি দেখতে ভীড় জমান দর্শনার্থীরা।

পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অতিথি পাখির অভয়ারণ্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) পাখি সংরক্ষণে গণসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও পাখি মেলা পাখি মেলার আয়োজন করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগ। 

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১ টায় ‘পাখ-পাখালি দেশের রত্ন, আসুন করি সবাই যত্ন’ স্লোগানকে ধারন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে ‘পাখিমেলা-২০২৩’ উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলম। বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সামনে দিনব্যাপী নানা আয়োজনে এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়। 

এসময় তিনি বলেন,‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাখির অভয়ারণ্য নিরাপদ রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। এখানকার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও যথেষ্ট সচেতন পাখিদের নিরাপত্তা রক্ষায়। এজন্যই প্রতি বছর শীত মৌসুমে দূর-দূরান্ত থেকে পরিযায়ী পাখি ক্যাম্পাসে ছুটে আসে।’ 

তিনি আরও বলেন,‘সম্প্রতি পাখির পরিমাণ কমে গেছে বলে আমরা ইতোমধ্যে অবগত হয়েছি। আসলে পাখিরা নীরব পরিবেশ পছন্দ করে। কিন্তু করোনার পর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক বেশি পরিমাণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে অনেকে শব্দ দূষণ করেছেন। যার কারণে এবছর পাখিরা সামনের লেকগুলো থেকে চলে গিয়েছে। এটি আমাদের জন্য শঙ্কার। ভবিষ্যতে পাখি সংরক্ষণে আমাদের সচেতন হতে হবে। পাখিদের সুরক্ষা নিশ্চিতে ক্যাম্পাসের সাবেক বর্তমান সকলের সহায়তা কামনা করছি।’ 

প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুল হাসান খানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জীববিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মো. নুহু আলম, প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. মোস্তফা ফিরোজ, বিশিষ্ট পাখিবিশারদ ড. ইনাম আল হক, প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার বাবু, বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রেজাউল করিম প্রমুখ। 

এছাড়া দিনব্যাপী এই পাখিমেলায় অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে ছিল, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি দেখা প্রতিযোগিতা, পাখি বিষয়ক আলোকচিত্র প্রদর্শনী, শিশু কিশোরদের জন্য পাখির ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, টেলিস্কোপ ও বাইনোকুলার দিয়ে শিশু-কিশোরদের পাখি পর্যবেক্ষণ, পাখির আলোকচিত্র ও পত্র পত্রিকা প্রদর্শনী, পাখি বিষয়ক আলোচনা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পাখি চেনা প্রতিযোগিতা (অডিও ও ভিডিও এর মাধ্যমে) ও পাখি বিষয়ক কুইজ প্রতিযোগিতা।

এছাড়া বিগত এক বছরে গণমাধ্যমে পাখি ও জীববৈচিত্র সম্পর্কিত প্রকাশিত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে প্রিন্ট, অনলাইন ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার তিন জন সংবাদকর্মীকে ‘কনজারভেশন মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড’ এবং বিগত এক বছরে বাংলাদেশের পাখির ওপর সায়েন্টিফিক জার্নাল, প্রকাশিত প্রবন্ধ পর্যালোচনা করে একজনকে ‘সায়েন্টিফিক পাবলিকেশন অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয়।

টিএইচ

Link copied!