ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা শনিবার, ০২ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে থাকছে না নারী কোটা

আমার সংবাদ ডেস্ক

আমার সংবাদ ডেস্ক

মে ২২, ২০২৫, ০৬:০৮ পিএম

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে থাকছে না নারী কোটা

এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী কোটা বাতিল করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

এসব প্রতিষ্ঠানে এতদিন মোট শিক্ষক পদের মধ্যে শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলে ২০ শতাংশ পদে নারী প্রার্থী নিয়োগ বাধ্যতামূলক ছিল।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

১৫ মে সিনিয়র সচিব সিদ্দিক জোবায়ের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রারম্ভিক স্তরে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে নারী কোটা থাকবে না।

ফলে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ-এনটিআরসিএ নারী কোটায় নির্ধারিত এ পদগুলোতে পুরুষ প্রার্থীদের সুপারিশ করত না। এবার সে বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়া হল।

তবে এমপিও নীতিমালায় বেসরকারি স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বেসরকারি কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নিয়োগের যোগ্যতা ও শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের এ আদেশ প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষরের দিন থেকে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের বেসরকারি মাধ্যমিক শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব দীপায়ন দাস শুভ বলেন, “বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হলেও আগের শর্ত অনুযায়ী বেসরকারি গার্লস স্কুলের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের সহকারী শিক্ষক ও বেসরকারি মহিলা কলেজের শরীর চর্চা শিক্ষক পদে নারী প্রার্থীরা নিয়োগ সুপারিশ পাবেন।”

নিয়োগের জন্য নির্ধারিত পদের বিপরীতে নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক পদে নিয়োগ সুপারিশের দায়িত্ব পালন করে এনটিআরসির শিক্ষাতত্ত্ব ও শিক্ষামান অনুবিভাগ।

এ বিভাগের পরিচালক ও যুগ্ম সচিব কাজী কামরুল আহছান গণমাধ্যমকে বলেন, “২০১২ সালে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে মহিলা প্রার্থীদের জন্য কোটা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন বা পৌরসভা এলাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষক পদের ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট শিক্ষক পদের ২০ শতাংশ নারী প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত ছিল৷

“তবে হাওর অঞ্চল, দুর্গম এলাকা তিন পার্বত্য জেলার পৌরসভা এলাকা ছাড়া অন্যান্য স্থানের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী প্রার্থীদের জন্য কোনো কোটা নির্ধারিত ছিল না।”

আন্দোলন চলার মধ্যে গত বছর ২৬ জুলাই সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ সরকারি চাকরির কোটার নতুন বিন্যাস ঠিক করে দিয়ে আদেশ জারি করে। আদেশে বলা হয়েছে, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা বীরাঙ্গনার সন্তানের জন্য ৫ শতাংশ; ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১ শতাংশ এবং প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষিত থাকবে। বাকি ৯৩ শতাংশ পদে নিয়োগ হবে মেধার ভিত্তিতে।

আরএস

Link copied!