Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫,

তিন দফা দাবিতে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

নিজস্ব প্রতিবেদক

মে ২৬, ২০২৫, ১১:৩০ এএম


তিন দফা দাবিতে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণসহ তিন দফা দাবিতে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতি পালন করছেন দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। 

সোমবার সকাল থেকে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলমান থাকবে।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের ডাকে এই আন্দোলন চলছে। এর আগে, ৫ মে থেকে ধাপে ধাপে ১ ঘণ্টা, ২ ঘণ্টা এবং অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকরা। ২৫ মে অর্ধদিবস কর্মবিরতি শেষে ২৬ মে থেকে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতির ঘোষণা আসে।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে পূর্ণ দিবস কর্মবিরতিতে যেতে হয়েছে।”

শিক্ষকদের তিন দফা দাবি

১. সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ হিসেবে ধরে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ।

২. ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন।

৩. প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতি প্রদান।

বর্তমানে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে, আর প্রধান শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পৌনে ৪ লাখের বেশি সহকারী শিক্ষক কর্মরত।

২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রাথমিক ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা সংস্কারে পরামর্শক কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এমিরেটাস অধ্যাপক ড. মনজুর আহমেদ।

কমিটি গত ১০ ফেব্রুয়ারি জমা দেওয়া প্রতিবেদনে সহকারী শিক্ষক পদ বিলুপ্ত করে নতুন এন্ট্রি লেভেল শিক্ষক পদে ১২তম গ্রেডে বেতন দেওয়ার সুপারিশ করে। এছাড়া প্রধান শিক্ষক পদে ১০ম গ্রেডে বেতন এবং পদোন্নতির মাধ্যমে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়।

পরে, ২৪ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী ও প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড উন্নীত করার বিষয়ে উদ্যোগ নেয়। সেই অনুযায়ী, ১৩তম গ্রেডের শিক্ষকদের ১২তম গ্রেডে এবং ১১তম গ্রেডের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।

তবে শিক্ষকরা এই উদ্যোগকে অসম্পূর্ণ এবং বাস্তবতার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ দাবি করে আন্দোলন অব্যাহত রেখেছেন।

ইএইচ

Link copied!