আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ২৬, ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মে ২৬, ২০২৫, ০৬:১৭ পিএম
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর পৃথক দুটি বিমান হামলায় অন্তত ৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে অনেক শিশু রয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে নিশ্চিত করেছে বিবিসি।
প্রথম হামলাটি হয় গাজা সিটির ফাহমি আল-জারগাওয়ি স্কুলে, যেখানে বেইত লাহিয়া থেকে বাস্তুচ্যুত শত শত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। স্কুলটির দুটি শ্রেণিকক্ষ আগুনে পুড়ে গেলে ভেতরে থাকা অন্তত ২০ জন মারা যান।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার সিভিল ডিফেন্স বাহিনীর মুখপাত্র জানিয়েছেন, অনেক মরদেহ এতটাই পুড়ে গিয়েছিল যে শনাক্ত করা কঠিন হয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চারদিকে আগুন, ধোঁয়া আর পোড়া দেহ পড়ে ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, ওই স্কুল ভবনে হামাস ও ইসলামিক জিহাদের একটি কমান্ড সেন্টার ছিল এবং তারা সেখান থেকে ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও সেনাদের বিরুদ্ধে হামলার পরিকল্পনা করছিল। তারা হামাসের বিরুদ্ধে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের ‘মানবঢাল’ হিসেবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলেছে।
এদিকে, গাজার উত্তরাঞ্চলের জাবালিয়ায় একটি বাড়িতে চালানো অপর এক হামলায় মারা গেছেন আরও ১৯ জন। এই হামলার বিষয়ে এখনও কোনো মন্তব্য করেনি ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
এই হামলাগুলো গাজার উত্তরাঞ্চলে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক তীব্র সামরিক অভিযানের অংশ। আইডিএফ জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় তারা গাজাজুড়ে ২০০টির বেশি স্থানে হামলা চালিয়েছে।
এর আগে, গত শুক্রবার গাজায় এক নারী চিকিৎসকের বাড়িতে চালানো ইসরায়েলি হামলায় তার নয় সন্তান মারা যায়। নিহত শিশুদের বয়স কয়েক মাস থেকে শুরু করে ১২ বছর পর্যন্ত। এই ঘটনায় আহত হয় তার স্বামী ও একমাত্র জীবিত ছেলে।
এছাড়া শনিবার খান ইউনিসে রেড ক্রসের দুই কর্মী—ইব্রাহিম ঈদ ও আহমাদ আবু হিলাল—বিমান হামলায় নিহত হন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৫৩ হাজার ৯৩৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১ লাখ ২২ হাজার ৭৯৭ জন আহত হয়েছে। তবে সরকারি গণমাধ্যম মৃতের সংখ্যা ৬১ হাজার ৭০০-এর বেশি বলে জানিয়েছে। কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ এখন আর বেঁচে নেই বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। -সূত্র: বিবিসি
আরএস