Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ১৪ জুন, ২০২৫,

আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন এক যাত্রী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

জুন ১২, ২০২৫, ০৮:৩৮ পিএম


আহমেদাবাদে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা: অলৌকিকভাবে বেঁচে গেলেন এক যাত্রী

ভারতের গুজরাট রাজ্যের আহমেদাবাদে বৃহস্পতিবার ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শুরুতে ধারণা করা হয়েছিল, কেউই বেঁচে নেই। তবে ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই সেই ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়—এক অলৌকিক ঘটনায় বেঁচে যান এক যাত্রী। আহমেদাবাদ পুলিশ নিশ্চিত করেছে, ওই যাত্রী জীবিত আছেন।

বেঁচে যাওয়া যাত্রীটি বিমানের ১১-এ নম্বর আসনে ছিলেন। দুর্ঘটনাস্থলে তাকে সাদা টি-শার্ট ও গাঢ় রঙের প্যান্ট পরা অবস্থায় খুঁড়িয়ে হাঁটতে দেখা যায়। তার শরীরে ধোঁয়ার দাগ ও রক্তের ছাপ ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, তার পায়ে আঘাত লেগেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে আহমেদাবাদ শহরের পুলিশপ্রধান জি এস মালিক বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, দুর্ঘটনাস্থল থেকে ২০৪টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এআই-১৭১ ফ্লাইটটি আহমেদাবাদ থেকে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পরই বিধ্বস্ত হয়। বিমানটিতে ক্রুসহ মোট ২৪২ জন আরোহী ছিলেন। উড্ডয়নের পর এটি প্রায় ৮২৫ ফুট উচ্চতায় পৌঁছার পর হঠাৎ নিচের দিকে পড়তে শুরু করে।

পাইলটের কাছ থেকে ‘মেডে’ বার্তা পাওয়ার পরই কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে বিমানটির সব যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এরপরই আকাশে একটি বিশাল কমলা আগুনের গোলা বিস্ফোরিত হয়। কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলি বহু মাইল দূর থেকেও দেখা গেছে।

বিমানটি একটি মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের জন্য নির্ধারিত হোস্টেলের ওপর বিধ্বস্ত হয়। ঘটনাস্থলেই পাঁচ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিওতে দেখা গেছে, বিমানের ধ্বংসাবশেষ হোস্টেলের ডাইনিং হলের দেয়াল ভেদ করে ভেতরে ঢুকে পড়েছে—কিছু প্লেটের ওপর তখনও খাবার পড়ে ছিল।

ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশন (ডিজিসিএ) এক বিবৃতিতে জানায়, বিমানটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাবরওয়াল, যিনি ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টার উড়ানের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। সঙ্গে ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্দর, যার রয়েছে ১ হাজার ১০০ ঘণ্টার উড়ান অভিজ্ঞতা।

দুর্ঘটনার ঠিক আগমুহূর্তে তাঁরা একটি ‘মেডে’ বার্তা পাঠান। এর পরই বিমানটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়।

ইএইচ

Link copied!