Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪,

ছেলেদের পোশাক নির্বাচন...

মো. মাসুম বিল্লাহ

মে ৮, ২০২২, ০১:৫৬ পিএম


ছেলেদের পোশাক নির্বাচন...

মানুষের ব্যক্তিত্ব ও রুচিশীলতা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো তার পোশাক। পোশাক নির্বাচনের জন্য উপলক্ষ হলো প্রথম কারণ ও তা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। উপলক্ষ এবং পরিবেশের সঙ্গে মানানসই এমন মেজাজের পোশাক নির্বাচনই আপনার রুচির পরিচয় দেয়। 

যেমন বিয়ে কিংবা পারিবারিক অনুষ্ঠানে যে ধরনের পোশাক মানানসই, ডিজে শো, কনসার্ট, পার্টিতে সে ধরনের পোশাক বেমানান, তাই না। আবার অফিস টাইমে যতটা পরিপাটি থাকা প্রয়োজন, ভ্রমণের সময় ততটা পরিপাটি না হয়ে একটু স্বাচ্ছন্দ্যকর পোশাক বেছে নেয়াই উত্তম।

যাদের দেহের গড়ন ভারী, সেসব ছেলের হালকা রঙের পোশাক পরিধান করা উচিত। আর যারা মোটা এবং খাটো তাদের বড় প্রিন্টের পোশাক না পরাই ভালো। তাদের খাড়া রেখাযুক্ত পোশাক পরিধান করলে লম্বা লাগবে। আবার ধরুন যারা একটু হালকা-পাতলা এবং লম্বা তাদের বড় বড় প্রিন্টের পোশাক পরলে ভালো মানাবে।

বয়সভেদে তরুণ বা যুবক সবারই প্রথম পছন্দ আরামের টি-শার্ট। ফ্যাশনেবল এ টি-শার্ট বা পোলো টি-শার্টই সবার কাছে প্রিয়। নকশার বৈচিত্র্য আর কাপড়ের কোমলতা ও সহজলভ্যতার কারণে এর জনপ্রিয়তা বেশি। আমাদের দেশের গরমের তীব্রতায় হালকা পোশাক ছাড়া বাইরে বের হওয়া প্রায় অসম্ভব।

আর তাই ঘরে-বাইরে টি-শার্টে তারুণ্যের আগ্রহ অনেক বেশি। কলেজ, ভার্সিটি এমনকি মাঝে মাঝে অফিসেও আজকাল সব পুরুষই ফ্যাশনের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে বেছে নিচ্ছেন টি-শার্ট। বিগত কয়েক বছরে ছেলেদের টি-শার্ট ব্যবহারে তুমুল পরিবর্তন এসেছে। 

আরামের পাশাপাশি ফ্যাশনে বৈচিত্র্য আনতে টি-শার্ট বা পোলো টি-শার্টের নকশা ও কাপড়ে এসেছে বৈচিত্র্য। টি-শার্টের কাপড় সম্পূর্ণ সুতি হলেই আপনি এই গরমে আরাম পাবেন আর ওয়াশ করাও সহজ।

হালকা রঙের সুতার নিটেড টি-শার্ট বা পোলো টি-শার্ট বেছে নিতে পারেন গরমে আরামের জন্য। সিনথেটিক কাপড়ের টি-শার্ট বা পোলো টি-শার্ট কিন্তু গরমে আপনার শরীরে ঘাম তৈরি করবে, যা অস্বস্তিকর। 

নিটেড শার্টই হবে এই গরমে সবচেয়ে ভালো। এতে সহজে বাতাস চলাচল করতে পারে। অফিসে অতি উজ্জ্বল, চাকচিক্যময় কোনো পোশাক পরা উচিত নয়। এসব রাখুন পার্টির জন্য। শালীনতা বজায় রেখে পোশাক নির্বাচন করা উচিত। দাওয়াতে হাফ হাতা শার্ট, জিন্সের প্যান্ট ও স্যান্ডেল পরতে পারেন।

গাঢ় রং বাদ দিয়ে সাদা, নীল, সবুজ, কালো, ধূসর- এই রংগুলোর শেড দিয়ে শার্ট পরুন। সঙ্গে কালো, নেভি ব্লু, বাদামি, ধূসর এবং এ ধরনের রঙের প্যান্ট পরুন। চটজলদি দরকার পড়লে কোট-টাই যোগ করে জরুরি সময়ে তৈরি হয়ে যাওয়া যায়। পোশাক দামি নয়, পরিপাটি হওয়া চাই। 

যে পোশাকটি আপনি পরছেন তা হওয়া চাই পরিচ্ছন্ন ও মার্জিত। খুব গরমে পরতে পারেন হাফ হাতা টি-শার্ট বা শার্ট। সঙ্গে জিন্স। তবে খেয়াল রাখবেন, সেগুলো যেন ছেঁড়া-ফাটা না হয়। ফুল হাতা শার্টের সঙ্গে সাধারণ প্যান্টই বেশি মানানসই।

তবে পোশাকের পাশাপাশি আরও কিছু ব্যাপারে নজর দেওয়া জরুরি। ছেলেরাও বেশ ফ্যাশনসচেতন হয়ে উঠেছেন আজকাল। যাদের চেহারার গঠন লম্বাটে কিংবা পান আকৃতির তাদের চুল লম্বা রাখলে ভালো। 

যাদের লম্বা চুল তারা সব সময় পোশাকের সঙ্গে মানানসই গার্ডার দিয়ে চুল বেঁধে রাখুন। আর মাঝে মধ্যে চুলের আগা ছেঁটে দিন। সপ্তাহে অন্তত দু'দিন শ্যাম্পু করে চুল পরিস্কার রাখুন।

যারা ক্লিন শেভে অভ্যস্ত তারা প্রতিদিন সেভ করে আফটার সেভ লোশন দিয়ে মুখটা ম্যাসাজ করে নিন। যারা দাড়ি রাখেন তারা সপ্তাহে নিয়ম করে দাড়িগুলো সাইজ করে নিন এবং পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। 

চুলের স্টাইল, পোশাক, জুতা, রোদচশমা ইত্যাদি ব্যাপারেই ছেলেরা এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সচেতন। ছেলেদের ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি এখন সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই কোনো ছেলে যদি ফ্যাশনেবল হতে চায় তাহলে তাকে কিছু বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। 

যেমন- কোন জিনিসগুলো তার সঙ্গে মানায় কিংবা কোন ধরনের পোশাক পরলে তাকে ভালো দেখাবে এ বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে। বাইরে কোথাও কারও সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা থাকলে অবশ্যই শেভ করে যাবেন। যাদের দাড়ি আছে তারা ঠিকমতো ছেঁটে পরিপাটি হয়ে যাবেন। কেননা, পারিপাট্যে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

আমারসংবাদ/এআই

Link copied!