Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

‌‌‍‍`বঙ্গমাতার অনুপ্রেরনার কারনেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র‍‍`

মো. মাসুম বিল্লাহ

আগস্ট ৮, ২০২২, ০৮:০২ পিএম


‌‌‍‍`বঙ্গমাতার অনুপ্রেরনার কারনেই বাংলাদেশ আজ স্বাধীন ও উন্নয়নশীল রাষ্ট্র‍‍`

আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর বলেছেন, মহিয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯২তম জন্মবার্ষিকী আজ (০৮ আগস্ট)। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের গুলিতে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বেগম ফজিলাতুন্নেছা ৪৫ বছর বয়সে শহিদ হন। 

৩৭ বছর সংসার জীবনে নিজের সুখ, শান্তি বিসর্জন দিয়ে বঙ্গবন্ধুর পাশে ছায়ার মত থেকেছেন। বঙ্গবন্ধুকে অনুপ্রেরনা ও সাহস দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতির দিকপাল হিসেবে কাজ করেছেন।

এমনকি বঙ্গালি জাতির মুক্তির অন্যতম সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন, তাই আজ বাংলাদেশ স্বাধীন। বিংশ শতাব্দির শ্রেষ্ঠ নারী হিসেবে বঙ্গমাতা বাঙ্গালি জাতির হৃদয়ে শ্রেষ্ঠ আসনে অধিষ্ঠিত থাকবেন।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব শুধু বঙ্গবন্ধুর সহধর্মীনি ছিলেন না, জাতির পিতার রাজনীতির অনুসমর্থক পরামর্শক ছিলেন। বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মৎসবীজী লীগের আয়োজিত আলোচনায় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সায়ীদুর রহমান সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, মৎস্যজীবী লীগের কার্যকরী সভাপতি মো. সাইফুল আলম মানিক, সহ-সভাপতি ড. মমতাজ খানম, নাছরিন আক্তার, সাজ্জাদুল হক লিকু শিকদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম খা, অর্থ সম্পাদক মো. নাছির উল্লাহ নাছির, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক কাজী শফিউল আলম শফিক, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মো. সাইদ মজুমদার, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সাজেদুর রহমান খান কমল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম সিদ্দিকী মামুন, রেজুয়ান আলী খান আর্নিকসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ।

মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন শেখ আজগর নস্কর বলেন, জাতির পিতা কারাগারে থাকাবস্থায় নিজের ঘরের স্বর্ণালংকার বিক্রি করে নেতাকর্মীদের খোঁজ-খবর নিয়েছেন বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব।

বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত রেখে স্বাধীন বাংলাদেশের জন্য কাজ করেছেন। ধীরে ধীরে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বঙ্গমাতা উপাধীতে ভূষিত হয়েছেন। সেই বঙ্গমাতার সুসংগঠিত আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরিত হয়েছে।

১৫ আগস্ট জাতির পিতার হত্যার পরে একমাত্র জিয়াই সবচেয়ে লাভবান হয়েছিল এবং গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল। তাদের মুখে বহুদলীয় গণতন্ত্র মানায় না। গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মানষকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বহুদলীয় রাজনৈতিক চর্চা করতে পারছে এবং পারবে।

আজ বিএনপি, জামায়াত উন্নয়ন চোখে দেখে না, চোখ ওনাদের অন্ধ। ওনারা দেখেন ষড়যন্ত্র আর ষড়যন্ত্র। ষড়যন্ত্র করেই ওনারা ক্ষমতায় যেতে চান। তাই সকল ষড়যন্ত্রকে রুখে দাড়াতে মৎস্যজীবী লীগকে শক্তিশালী করতে হবে এবং ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।


আমারসংবাদ/টিএইচ

Link copied!