নিজস্ব প্রতিবেদক
জুন ১৩, ২০২৫, ১১:১৯ পিএম
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) মনে করে, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়ন, মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে ‘জুলাই সনদ’ কার্যকর এবং বিচারের রোডম্যাপ ঘোষণার পরই জাতীয় নির্বাচনসংক্রান্ত আলোচনা চূড়ান্ত হওয়া উচিত।
শুক্রবার এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার অংশ হিসেবে অন্তর্বর্তী সরকারের আওতায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে চলমান আলোচনা ইতিবাচকভাবে দেখছে এনসিপি। লন্ডনে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যকার বৈঠক নির্বাচন নিয়ে দলটির আস্থার জায়গা তৈরি করলেও, অভ্যুত্থান-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে জনগণের প্রধান দাবি ‘বিচার ও সংস্কার’ যথাযথ গুরুত্ব পায়নি — যা অত্যন্ত হতাশাজনক।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, নির্বাচন বিষয়ে সরকার শুধু একটি রাজনৈতিক দলের অবস্থান ও দাবিকেই প্রাধান্য দিচ্ছে বলে বারবার প্রতীয়মান হচ্ছে, যা জাতীয় ঐক্য গঠনের পথে বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে।
এনসিপি মনে করে, ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রণয়ন, ‘জুলাই সনদ’ কার্যকর এবং বিচারের রোডম্যাপ ব্যতীত জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজন করা হলে তা কেবল ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় রূপ নেবে এবং রাষ্ট্র পুনর্গঠনের গণআকাঙ্ক্ষাকে দমন করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, জনগণের দাবি অনুযায়ী ‘জুলাই সনদ’ রচনা ও কার্যকরের পূর্বে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হলে জনগণ তা মেনে নেবে না।
তারা সরকারকে আহ্বান জানায়, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সংস্কার প্রশ্নে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো, ‘জুলাই সনদ’ রচনা এবং তা কার্যকর করার মাধ্যমে আসন্ন জুলাই মাসকে ঐতিহাসিক মর্যাদায় স্মরণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হোক।
ইএইচ
