আবদুল হালিম, কক্সবাজার
আগস্ট ৬, ২০২৫, ০৬:৪০ পিএম
জাতীয় রাজনীতির উত্তাল প্রেক্ষাপটে হঠাৎ করেই কক্সবাজারে গোপন সফরে এসেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাঁচজন কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতা। এই সফর ঘিরে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও গুঞ্জন।
মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজার শহরের কলাতলী এলাকার একটি অভিজাত রিসোর্টে এনসিপি নেতাদের অবস্থান লক্ষ্য করা যায়।
রিসোর্টটিতে ঘরোয়া বৈঠক চলাকালে ছিল কড়া নিরাপত্তা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সফরকারী নেতারা হলেন—এনসিপি কেন্দ্রীয় নেতা হাসনাত আবদুল্লাহ, সারজিস আলম, ডা. তাসনিম জারা, নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জারার স্বামী ও দলের যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ।
তাদের সঙ্গে ছিলেন সারজিস আলমের স্ত্রী হাফেজা রাইতা। এ সময় তাদের সঙ্গে কয়েকজন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গেছে।
যদিও এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা দাবি করছেন, এটি একটি ‘সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত সফর’।
তাদের ভাষ্য, কক্সবাজারে তারা দুই দিনের পারিবারিক অবকাশ কাটাতে এসেছেন।
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, সফরকালে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে একাধিক ঘরোয়া বৈঠক হয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, চলমান নির্বাচন ও আন্দোলনমুখী রাজনীতির প্রেক্ষাপটে এই সফরকে নিছক ব্যক্তিগত বলা কঠিন।
কারণ, সম্প্রতি কক্সবাজার জেলায় এনসিপির সাংগঠনিক তৎপরতা এবং জনসম্পৃক্ততা বাড়ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপি নেতা নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, “আমরা এখানে কেবল ঘুরতে এসেছি। সংবাদমাধ্যমে যেসব খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণ গুজব।”
এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, “পিটার হাসের সঙ্গে আমাদের কোনো বৈঠক হয়নি। কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচিও নেই। আমরা একান্ত পারিবারিক সফরে এসেছি। তবে স্থানীয় কিছু নেতার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে।”
স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সফরের পেছনে ভিন্ন কৌশলগত কোনো প্রস্তুতি থাকতে পারে। বিশেষ করে, সাংগঠনিক পুনর্গঠন, স্থানীয় নেতৃত্বের মূল্যায়ন কিংবা ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রোডম্যাপ নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তারা।
ইএইচ