আমার সংবাদ ডেস্ক
জুলাই ৫, ২০২৫, ১২:২২ পিএম
গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে এখন পর্যন্ত দেশের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি ‘মব সংস্কৃতি’ বলে মন্তব্য করেছেন সাংবাদিক ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মাসুদ কামাল।
তিনি বলেছেন, “এক বছরে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি মব কালচার। আমরা এটা আগে পাইনি, এভাবে দেখিনি। এক বছরে মব কালচারকে আমরা এমনভাবে প্রতিষ্ঠা করেছি, যেন এটা একটা ‘বৈধ কাজ’।”
অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্রের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সংগঠিত মবের ঘটনা তুলে ধরে সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সংবাদ বিশ্লেষণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
মবের ঘটনায় কোনো শাস্তি না হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘মবের কোনো শাস্তি হচ্ছে না, মব ভায়োলেন্সের কোনো শাস্তি দেখাতে পারবেন না, এগুলো সব বৈধ। এ মব কালচারের একটা বিপজ্জনক দিক আছে, এটা ভয়ঙ্কর।’
তিনি বলেন, একজন লোক রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে, তখন চার-পাঁচজন ছেলে তাকে স্বৈরাচারের দোসর, ফ্যাসিবাদের দোসর বলে উত্তম-মধ্যম দেওয়া শুরু করল, কেউ তাকে ফেরাতেও যাবে না।
যে ফেরাতে যাবে সেও চিন্তা করবে আমি তো উল্টো মারধরের শিকার হতে পারি। পুলিশ পাশ দিয়ে হাঁটবে, কিন্তু তাকে ফেরানোর চেষ্টাও করবে না। কারণ, ফেরাতে গেলে তাকে ক্লোজ করা হবে।’
সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে লাঞ্ছিত ও তার গলায় জুতার মালা পরানোর সময় পুলিশ দর্শকের ভূমিকায় দাঁড়িয়েছিল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘নুরুল হুদা সাহেরের মবের যে ভিডিও আমরা দেখলাম, সেখানে দেখা গেল, পুলিশের এক সদস্য নীরব দর্শকের মতো দাঁড়িয়েছিলেন।
মবকে থামানোর চেষ্টাও করেন নাই। কিন্তু তার যে ট্রেনিং ছিল, সেটা কি তাকে থামাতে বলে নাই? বলেছে, তারপর সে করে নাই কেন? করবে না–– কারণ সে ভাববে আমার জীবনের নিরাপত্তা কোথায়? কারো জীবনের কোনো নিরাপত্তা নাই। এখন এসব যারা উৎসাহ দিচ্ছে, আলটিমেটলি তাদের কপালে কী আছে জানি না।
বিআরইউ