জানুয়ারি ৩০, ২০২৩, ০৪:২৬ পিএম
রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে মাস্ট উইন গেমে আজ (৩০ জানুয়ারি) মুখোমুখি হয়েছে নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটর্স। যেখানে টসে হেরে আগে ব্যাটিং করতে নেমে খুব বেশি বড় সংগ্রহ পায়নি নাসিরের দল।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে টসে হেরে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৪ রান সংগ্রহ করেছে দলটি। জিতে বিপিএলে সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে রংপুরকে এই রানের মধ্যেই আটকে রাখতে হবে দলটিকে।
এদিন ঢাকার লড়াকু সংগ্রহ পাওয়ার পেছনে বড় অবদান ছিল দলটির আফগান রিক্রুট উসমান গণির। এই ব্যাটসম্যান একাই টেনেছেন দলটিকে। শেষদিকে অবশ্য ঢাকার অধিনায়ক নাসিরের মাঝারি ইনিংস কিছুটা সহায়তা করছিল লড়াকু স্কোর গড়তে।
এদিন প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে অবশ্য ঢাকা শুরুতে কিছুটা খেই হারিয়ে ফেলেছিল। প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে ঢাকা। বিনিময়ে করতে পারে মোটে ৩০ রান।
রংপুরের পেসার আজমতউল্লাহ শুরুতেই ফেরান মিজানুর রহমান (৫ রান) এবং সৌম্য সরকারকে (১১ রান)। পাওয়ারপ্লেতে অন্য উইকেটটি নেন শেখ মাহেদী। অ্যালেক্স ব্লেককে ৪ রানে বোল্ড করে ফেরান।
এরপর উসমান গণি চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ মিথুনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন। মিথুন অবশ্য ১৫ বলে ১৪ রান করে আউট হয়ে উলটো দলের রানের গতি কমিয়ে দেন এবং চাপ বাড়ান।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে উসমান এবং অধিনায়ক নাসির ৫৫ রান যোগ করলে কিছুটা স্বস্তির স্কোর পায় ঢাকা। নাসির ২২ বলে ৩ চার ও ১ ছয়ে ২৯ রান করে রান আউটের ফাঁদে পড়ে ফেরেন।
সতীর্থকে হারালেও শেষদিকে আক্রমণ চালিয়ে যান উসমান। শেষ ওভারে হারিস রউফ থেকে তুলে নেন ১৮ রান। এরমধ্যে শেষ দুই বলে হাঁকান ছয়। যার ফলে উসমানের ৫৫ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছয়ের সুবাদে করা ৭৩ রানে ভর করে লড়াকু সংগ্রহ পায় ঢাকা।
রংপুরের পক্ষে আজমতউল্লাহ ২৭ রানের বিনিময়ে নেন ২ উইকেট। এছাড়াও শেখ মাহেদী এবং রাকিবুল হাসান নেন ১টি করে উইকেট। ম্যাচে হারিস রউফ ৪ ওভারে ৪৯ রান দিলেও কোনো উইকেট পাননি।
এবি