ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বুধবার, ০৬ আগস্ট, ২০২৫
Amar Sangbad
মহানগরের ৬৫ পাহাড়ের মধ্যে ৩৪টি ঝুঁকিপূর্ণ

চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে ৩ জনের মৃত্যু

মো. মাসুম বিল্লাহ

এপ্রিল ৮, ২০২৩, ১১:৫২ এএম

চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে ৩ জনের মৃত্যু

চট্টগ্রামে আকবর শাহ থানা এলাকায় পাহাড়ধসে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। গতকাল শুক্রবার বিকালে নগরীর বেলতল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। মৃত ব্যক্তির নাম খোকা (৪৫)। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আকবর শাহ এলাকায় পাহাড়ধসে একজন মারা গেছেন। এখনও কয়েকজন মাটির নিচে আটকে আছেন বলে স্বজনরা দাবি করছেন। উদ্ধার তৎপরতা চলছে।’

চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ মিয়া জানান, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে বেলতল এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ এবং স্থানীয়রা উদ্ধার তৎপরতা শুরু করেন। ওই এলাকায় একটি সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে পাহাড় কেটেছেন শ্রমিকরা।

এ কারণে এ পাহাড়ধস হয়। মাঠির নিচে আর কেউ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নুরুল আলম আশিক জানান, পাহাড়ধসে এক ব্যক্তিকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।

ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক আবদুল মালেক জানান, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধারকাজ শুরু করেছেন। স্থানীয়রা জানান, বৃষ্টি না হলেও পাহাড় কাটার কারণে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে। যারা মারা গেছেন, তাদের নাম-পরিচয় জানা না গেলেও ধারণা করা হচ্ছে তারা পাহাড় কাটার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। বন্দরনগরী চট্টগ্রামে এর আগে বেশ কয়েকবার পাহাড়ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। চট্টগ্রাম   মহানগরে ৬৫ পাহাড়ের মধ্যে ৩৪টিকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি।

এর মধ্যে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানাধীন ১৭টি অতিঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে ৮৩৫টি পরিবার বসবাস করছে। অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০টি পাহাড়ে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৫৩১টি। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার মালিকানাধীন সাত পাহাড়ে অবৈধ বসবাসকারী পরিবারের সংখ্যা ৩০৪। প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে চট্টগ্রামের কোথাও না কোথাও পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে পাহাড়ধসে সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় ২০০৭ সালে। ওই বছরের ১১ জুন টানা বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে পাহাড়ধসে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। ২০১৭ সালে মারা যান ৩০ জন।

Link copied!