Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪,

আগামীকাল সংসদের প্রথম অধিবেশন

উচ্ছ্বাস-মলিনে দ্বাদশযাত্রা

আবদুর রহিম

জানুয়ারি ২৯, ২০২৪, ১২:০৬ এএম


উচ্ছ্বাস-মলিনে দ্বাদশযাত্রা
  • ২৯৯ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৩টি
  • বিএনপিসহ নিবন্ধিত ১৮ দলের সঙ্গে জামায়াতসহ ৬৩ দলের ভোট বর্জন
  • ভোটের হার নিয়ে বিতর্ক শপথ নিয়েও আলোচনা সমালোচনা   
  • ভারত, চীন, রাশিয়াসহ বহু দেশ সমর্থন দিলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুলেছে প্রশ্ন
  • অধিবেশনের প্রথম দিন নতুন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন

আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে দ্বাদশ সংসদের আনুষ্ঠানিক যাত্রা। শুরু হবে প্রথম অধিবেশন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে এ নিয়ে উচ্ছ্বাস। রাজপথে আন্দোলনে সফল এবং টানা সাফল্যের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে দলটি। অন্যদিকে দেড় যুগেরও বেশি সময় ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপিসহ সরকার বিরোধীরা এবারও হার মানল। ধারাবাহিক আন্দোলন ও এক দফা ঘোষণা করেও ঘরে কোনো ফসল তুলতে পারেনি। কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে দলটির প্রথম সারির নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যায়। ভোটের এক বছর আগে থেকে নির্বাচন কমিশনের কোনো আহ্বানে সাড়া দেয়নি বিএনপিসহ নিবন্ধিত ১৮টি রাজনৈতিক দল। একই সঙ্গে ৬৩টি রাজনৈতিক দলসহ যায়নি ভোটেও। এমন পরিস্থিতিতে গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। নির্বাচনে ২৯৯ আসনের মধ্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ পেয়েছে ২২৩ আসন। 

এ ছাড়া ৬২ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। জাতীয় পার্টি জয় পেয়েছে ১১ আসনে। আর নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করে আ.লীগের তিন শরিক দল জয় পেয়েছে তিনটি আসন। এ বিজয়কে ক্ষমতাসীন দল জনগণের বিজয় বলে উল্লেখ করলেও বিএনপি বলছে— ডামি ভোটে ডামি সংসদ গঠন হয়েছে। ভারত, চীন, রাশিয়াসহ আরও কিছু দলের সমর্থন পেলেও যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক বড় সংস্থাগুলো সরকারকে সমর্থন দেয়নি। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান থেকে সরে যায়নি। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) বলছে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি। এ ছাড়া ভোটের হার নিয়ে সন্দেহ ও একাদশ সংসদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদের শপথ নিয়েও বিতর্ক উঠে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অধিবেশনের সব প্রস্তুতি এর মধ্যে সম্পন্ন করেছে সংসদ সচিবালয়। ওই দিন আশেপাশে যানবাহন চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। প্রথম দিন স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার নির্বাচন করা হবে। সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার আসনে কে বসতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে এতদিন নানা আলোচনা ছিল। গতকাল বিকেলে সেটিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। সংসদে বিরোধী দলের নেতা চূড়ান্ত করা হয়েছে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে। এর আগে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, স্বতন্ত্রদের আসন যতই থাকুক, দল হিসেবে জাতীয় পার্টির আসন বেশি থাকায় তারাই বিরোধী দল হবে। সর্বশেষ আসন বণ্টনেও তার কথার সত্যতা মিলেছে।

এ ছাড়া গতকাল দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জয়ী স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের সরকারি বাসভবন গণভবনে আমন্ত্রণ জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বতন্ত্রদের অবস্থান সরকারি দলে, নাকি বিরোধী দলে তা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। তাদের নিয়ে কীভাবে আগামী পাঁচ বছর চলা হবে সেটিরও বার্তা দেয়া হয়। একই সঙ্গে সংরক্ষিত নারী আসনের বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টানা চতুর্থবার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে ক্ষমতাসীন আ.লীগ। ২৯৯টি সংসদীয় আসনের মধ্যে তারা পেয়েছে ২২৩টি। বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পেয়েছে ১১ আসন। যেখানে স্বতন্ত্ররা ৬২ আসনে জয়ী। স্বতন্ত্রদের ৫৯ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত। সময়কার ক্ষমতায় থাকা বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল এবার নির্বাচন বর্জন করে। 

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, সংসদ নেতার নির্দেশ ও স্পিকারের পরামর্শ অনুযায়ী চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী আসন বিন্যাস প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করে স্পিকারের কাছে পাঠিয়েছেন। আসন বিন্যাসে একাধিকবার নির্বাচিত, রাজনৈতিক দলে অবস্থান, ভোটের ব্যবধান, জনপ্রিয়তাসহ কয়েকটি বিষয় গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনে নতুন সংসদ সদস্যদের উদ্দেশে সংসদে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। পরে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করা হবে। প্রস্তাবের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নেবেন সংসদ সদস্যরা। এ বিষয়ে চিফ হুইপ নুর-ই-আলম চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ৩০ জানুয়ারি থেকে দ্বাদশ সংসদের মেয়াদ শুরু হচ্ছে। এই সংসদের সরকার ও বিরোধী দলের সব সদস্যকে অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ড. শিরীন শারমিনকে পুনর্নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়ায় প্রথম দিন ডেপুটি স্পিকারের সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হবে।

সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা জি এম কাদের : দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের নেতা হলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। গতকাল স্পিকারের আদেশক্রমে সিনিয়র সচিব কে এম আব্দুস সালামের জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বিরোধী দলের উপনেতা করা হয়েছে চট্টগ্রাম-৫ আসন থেকে নির্বাচিত এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে।

ভোটের হার নিয়ে বিতর্ক, শপথ নিয়েও আলোচনা-সমালোচনা :  এবার দ্বাদশ সংসদের ভোটের হার নিয়ে বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে দেশের সচেতন মহল থেকেও সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। একই সঙ্গে সংসদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় আরেকটি সংসদের শপথ নিয়েও বিশেষজ্ঞ ও কূটনৈতিক মহল থেকে বিতর্ক উঠে। ভোটের দিন তিন দফায় শতকরা ঘোষণা করে কমিশন। সেদিন দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত গড়ে সাড়ে ১৮ শতাংশ ভোট পড়ে। এরপর বেলা ৩টা পর্যন্ত ২৬ দশমিক ৩৭ শতাংশ ভোট পড়ার কথা জানায় ইসি। এরপর এক ঘণ্টা পর ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য জানালে দেশের বৃহৎ জায়গা থেকে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়। এদিকে মাত্র তিন দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ এবং চার দিনের মাথায় মন্ত্রিদের শপথ নিয়েও রাজনীতিতে বিতর্ক উঠে। বিরোধী রাজনীতি ও সচেতন মহলের একাংশ থেকে দাবি উঠে—  আগের সংসদের মেয়াদ থাকা অবস্থায় নতুন সংসদের শপথ নেয়ায় সংবিধান লঙ্গন হয়েছে এবং সংসদে সদস্য প্রায় সাড়ে ৬০০ হয়ে যায়। 

নিবন্ধিত ১৮ দলের সঙ্গে বিএনপি-জামায়াতসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দলের ভোট বর্জন : নিবন্ধিত ১৮টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিএনপি জামায়াত জোটের ৬৩টি রাজনৈতিক দল এবার দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচন কমিশনের একাধিকবার আহ্বানেও সাড়া দেয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিরোধীদের আন্দোলন এখনো অব্যাহত রয়েছে। নিবন্ধিত দলের মধ্যে যারা ভোটে যায়নি সেগুলো  হলো— বিএনপি, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, সিপিবি, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে বাংলাদেশ, ইনসানিয়াত বিপ্লব, জাতীয় গণতান্ত্রিক আন্দোলন বা এনডিএম, বাংলাদেশের জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-বাংলাদেশ জাসদ, জেএসডি (রব), বাসদ, বিজেপি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন), গণফোরাম এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী)।

সংসদ ভবনের আশপাশে বিক্ষোভ সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা : আগামীকাল দ্বাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হবে। সংসদ অধিবেশন চলাকালে জাতীয় সংসদ ভবন ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য কিছু বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ-ডিএমপি। গতকাল রোববার ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান এক আদেশে এসব নিষেধাজ্ঞার কথা জানান। আদেশে সোমবার রাত ১২টা থেকে সংশ্লিষ্ট এলাকায় সব ধরনের অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এ ছাড়া যেকোনো প্রকার সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা, বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষেধ করা হয়েছে। সংসদের প্রথম অধিবেশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ আদেশ বলবৎ থাকবে।

মাশরাফিসহ পাঁচ জনকে হুইপ নিয়োগ : মাশরাফি বিন মর্তুজাসহ পাঁচজন সংসদ সদস্যকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদের হুইপ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। গত ২৩ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি  দ্বাদশ জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ হিসেবে মাদারীপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য নূর-ই-আলম চৌধুরীকে নিযুক্ত করেছেন। আলাদা প্রজ্ঞাপনে পাঁচজনকে হুইপ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি ছাড়া অন্য হুইপরা হলেন দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, জয়পুরহাট-২ আসনের আবু সাঈদ আল মাহমুদ (স্বপন), নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের মো. নজরুল ইসলাম (বাবু) ও কক্সবাজার-৩ আসনের সাইমুম সরওয়ার (কমল)।

দ্বাদশ জাতীয় সংষদ নির্বাচন কেমন ছিল সে বিষয়ে মূল্যায়ন করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ-টিআইবি। সংস্থাটি বলছে, নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এবং অংশগ্রহণমূলক দেখাতে নিজ দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচন করলেও বেশির ভাগ আসনে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। প্রতিবেদনে বলা হয়, একপাক্ষিক ও ‘পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ’ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। নির্বাচনে শেষের এক ঘণ্টায় ১৫.৪৩ শতাংশ ভোটসহ মোট ৪১.৮ শতাংশ ভোট পড়া বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। অন্যদিকে বিএনপিসহ ১৫টি নিবন্ধিত দলের অনুপস্থিতি ও তাদের নির্বাচন বর্জনের কারণে বেশির ভাগ আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। অন্তত ২৪১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। ভোটের দিন স্বল্প ভোটার আগমন এবং ডামি লাইন তৈরি, বিভিন্ন আসনে অন্য দলের প্রার্থীর এজেন্ট বের করে দেয়া, ভোটের আগে ব্যালটে সিল মারা, ভোট চলাকালে প্রকাশ্য সিল মারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ করে আ.লীগের পরাজিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা।

জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হওয়ার মাধ্যমেই সংসদ সদস্যরা কাজ করার সুযোগ পান। প্রজাতন্ত্রের সব ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের প্রত্যাশা পূরণ ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে নবনির্বাচিত সংসদ সদস্যদের কাজ করতে হবে। পাঁচ বছর পূর্ণ হলে কৃতকর্ম নিয়েই জনগণের কাছে ফিরে যেতে হবে।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স আমার সংবাদকে বলেন, শপথ দায়িত্ব গ্রহণ সবই তো নিজদের মধ্যে। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে দেশের মানুষ প্রহসনের নতুন মাত্রা দেখেছে। পুরো নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার করা ছাড়া নির্বাচনে জনমতের প্রতিফলন ঘটবে না। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে নীতিহীন রাজনীতির চেহারা জনসম্মুখে আরেকবার ফুটে উঠল। কে শপথ নিলো, কখন অধিবেশন শুরু হচ্ছে— এ নিয়ে মানুষের মধ্যে কোনো আগ্রহ নেই একটি দল ছাড়া।  
 

Link copied!