আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ৩০, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
আমার সংবাদ ডেস্ক
মে ৩০, ২০২৫, ০৫:৪৮ পিএম
পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে চাকরি খুঁজছিলেন দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। একটি চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন ওই ছাত্রী। পরবর্তীতে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দ্বাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে অপহরণ করে একটি চক্র। পরে তাকে আটকে রেখে নগ্ন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের কাছে।
এ ঘটনায় রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে অপহৃত ছাত্রী উদ্ধারসহ পেশাদার অপহরণকারী চক্রের পাঁচ সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. মাসুম পারভেজ (৩৮), মো. সোলাইমান হোসেন (৩৮), শফিকুল ইসলাম সৌরভ (২৭), মোছা. মায়া (২৫) ও মোছা. রুলি খানম (১৯)। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময় মুক্তিপণ বাবদ আদায় করা এক কোটি ৪১ লাখ টাকা, ৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, দুটি সিসি ক্যামেরা এবং তিনটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (৩০ মে) বিকেলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানান।
উত্তরা পশ্চিম থানা সূত্রে জানা যায়, ২৬ মে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী রূপনগর আবাসিক এলাকার বাসা থেকে বাইরে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরবর্তীতে ২৮ মে দিবাগত রাত ২টা ৩৬ মিনিটের দিকে অজ্ঞাত ব্যক্তি ওই ছাত্রীর মায়ের মোবাইলে ফোন করে মেয়েকে উদ্ধারের জন্য ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন।
বিষয়টি অপহৃত ছাত্রীর মা উত্তরা পশ্চিম থানাকে অবহিত করেন। সংবাদ পেয়ে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের তড়িৎ পদক্ষেপে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় অপহরণকারী চক্রটিকে শনাক্ত করা হয়।
পরবর্তীতে গত ২৮ মে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে উত্তরা পশ্চিম থানাধীন ১১ নম্বর সেক্টরের একটি বাসার দ্বিতীয় তলা থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, এ সময় তাদের সহযোগী কয়েকজন দৌড়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় গ্রেফতাররাসহ পলাতকদের বিরুদ্ধে উত্তরা পশ্চিম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তিনটি পৃথক মামলা করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা জানায়, তারা একটি পেশাদার অপহরণকারী চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন বয়সের কিশোরীদের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে তাদের আটকে রেখে বিভিন্ন নগ্ন ভিডিও ও ছবি ধারণ করতেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ আদায় করতেন।
আরএস