বিশেষ প্রতিবেদক
আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৮:৫৪ পিএম
সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদাপাথর লুটের ঘটনায় প্রশাসনের প্রতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, “পাথর কতটুকু উত্তোলন হয়েছে বা লুট হয়েছে—এটি আমার মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। আমি দায়িত্ব নেব, কিন্তু পাথর লুট হওয়ার দায় আমাকে দেবেন না।”
রোববার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “উপদেষ্টারা সীমিত পর্যায়ে কার্যক্রমে যেতে পারেন। আমরা যে ফিল্ডে গিয়েছি, তা শুধু বার্তা প্রদানের জন্য। গত ১০/২০ বছরে আপনি কি কখনো কোনো মন্ত্রীকে পাথর লুট রোধে সরাসরি মাঠে যেতে দেখেছেন?”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, “সর্বদলীয় ঐক্যের কারণে প্রশাসন হয়তো নীরব থেকেছে বা যোগসাজশ করেছে। এ বিষয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেব। সরকারের কাজ হলো নীতিমালা প্রণয়ন, আর মাঠ পর্যায়ে প্রশাসনকে তা কার্যকর করতে হবে। আমরা বারবার প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। যখন তারা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারছিল না, তখন আমি এবং সহ-উপদেষ্টা ফাওজুল কবির ফিল্ডে গিয়েছি।”
রিজওয়ানা হাসান জানান, ফিল্ডে গেলে তাদের গাড়ি ঘিরে অশ্লীল বিক্ষোভ দেখানো হয়, যা পরে রাজনৈতিক দল নেতাদের বহিষ্কার ও সাসপেন্ডের কারণ হয়। তিনি বলেন, “যত দ্রুত জনগণ সক্রিয় হয়ে লুটের বিরুদ্ধে দাঁড়ায়, পাথর লুটের ঘটনাও তত কম হবে। বর্তমানে মামলা চলছে, আর আমরা দেখব দোষীদের কতটুকু তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।”
উপদেষ্টা আরও বলেন, “ফিল্ড পরিদর্শনের পর তিন দিনের ব্যাপক অভিযান চালানো হয়, সব ভাঙার মেশিনের বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে চার-পাঁচ দিন পর রাজনৈতিক দলগুলো চাপ প্রয়োগ করে এবং ঘোষণা দেয় পাথর উত্তোলন করতে হবে। পরিবহন মালিকরা ধর্মঘটের হুমকি দেয়, যা নতুন নয়। ২০২০ সালের করোনাকালে তারা দুইবার ধর্মঘট করেছে। তখনও আমরা প্রশাসনকে আমাদের সঙ্গে নিয়ে সক্রিয় ছিলাম।”
রিজওয়ানা হাসান বলেন, “মানুষের শক্তি সবচেয়ে বড়। লুটেরা চক্রের বিরুদ্ধে জনগণ দাঁড়ালে রাজনৈতিক শক্তি যতই সমর্থন করুক না কেন, মানুষের শক্তিই জয়ী হয়।”