Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

লোহার সরঞ্জাম শান দিতে ব্যস্ত ভূঞাপুরের কামাররা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি

জুলাই ৬, ২০২২, ১২:১২ পিএম


লোহার সরঞ্জাম শান দিতে ব্যস্ত ভূঞাপুরের কামাররা

কোরবানির ঈদ আসতে আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। আর সে কারণেই ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরের বিভিন্ন এলাকার কামার বাড়ির কারিগররা । 

ঈদে চাহিদার কথা বিবেচনা করে কোরবানির পশু জবাইরের জন্য বড় ছুরি সহ চাপাতি, দা, চাকু, বঁটি তৈরিসহ পুরাতন লোহার সরঞ্জাম শান দিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন তারা । কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কয়লার চুলার দগদগে আগুনে গরম লোহার  টুংটাং শব্দে মুখরিত হচ্ছে উপজেলার কামারশালাগুলো। 

ছবিটি গত রাতে উপজেলার খুপিবাড়ী এলাকার সুভাষ কামারের কামারশালা থেকে তোলা হয়েছে। সারা বছর তাদের তেমন একটা কাজ না থাকলেও প্রতি বছর এই সময় চাহিদা বেশি থাকায় কামাররা ব্যস্ত সময় কাটান। বছরের অন্যান্য যে টাকা উপার্জন করেন তার কয়েকগুণ টাকা কোরবানির ঈদে আয় করেন কামারেরা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, ঈদ উল আযহাকে ঘিরে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এখানকার কামাররা । হাট বাজার ও অলিতে-গলিতে তাদের হাতুড়ি ও হেমারের টুং টাং চলছে অবিরত । কোরবানির পশু জবাইরের কাজে ব্যবহারের সরঞ্জাম তৈরি ও পুরাতন সরঞ্জাম শান দিতে কামারশালায় ভিড় করছেন মানুষ।

অপরদিকে উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারের আসা কামারের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সেখানে প্রতি পিস চাপাতি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, বঁটি ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায়, ছোট ছুরি ১০০ থেকে ২০০ টাকায়, বড় ছুরি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় । 

এছাড়াও কোরবানি পশু জবাইরের প্রতিটি বড় ছুরি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫০০ থেকে ২ হাজর টাকায়। 

উপজেলার খুপিবাড়ী এলাকায় সুভাষ কামার বলেন, সারা বছর তেমন কাজ না থাকলেও কোরবানি ঈদ আসলে আমাদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে যায়। ঈদ যত কাছে আসতে আমাদের কাজের চাপ তত বেড়ে যাচ্ছে। 

সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত টানা কাজ করে যাচ্ছি। সারা বছর যা উপার্জন না হয়, কোরবানি ঈদ আসলে তার চেয়ে বেশি উপার্জন হয়।
উপজেলার গোবিন্দাসী হাটে আসা ক্রেতা আব্দুল গফুর বলেন, আমি কোরবানির পশু জবাই করার ছুরি কিনতে এসেছি। 

বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে দাম একটু বেশি। বড় ছুরির দাম চাচ্ছে ২ হাজার টাকা। এর আগে দাম ছিল ১৫০০ থেকে ১৬০০ টাকা। সেই সাথে দা, বঁটি, চাপাতি, ছোট ছুরি সহ সকল সরঞ্জামের দাম আগের চেয়ে অনেক বেশি।
 
টাঙ্গাইলের বৃহত্তম ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী হাটে আসা কামারের দোকানীরা বলেন, সরঞ্জাম বানাতে লোহা সহ সকল কিছুর দাম অনেক বেড়ে গেছে। আগে একটা চাপাতি বানাতে ২০০ থেকে ২৫০ টাকা খরচ হতো।

এখন সেটা বানাতে খরচ হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। সকল কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার একটু বেশি দামে সরঞ্জাম গুলো বিক্রি করতে হচ্ছে। সকল কিছুর দাম বেড়ে যাওয়ার এখন আর আগের মতো লাভ হয়না। বাপ দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে পেশাটাকে ধরে রেখেছি।


আমারসংবাদ/টিএইচ

Link copied!