Amar Sangbad
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪,

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেলের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা

জহিরুল হক রাসেল, কুমিল্লা প্রতিনিধি

জহিরুল হক রাসেল, কুমিল্লা প্রতিনিধি

অক্টোবর ১, ২০২২, ০৫:৫০ পিএম


বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেলের নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে স্বাস্থ্য সেবা

কুমিল্লা জেলা বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কুমিল্লা জেলার প্রাচীন একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান, ১৯৬৬ সালে ১০ শয্যার স্থাপনা নিয়ে যাত্রা শুরু করে এই স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান। সময়ের পরিক্রমায় ১০ শয্যা থেকে বেড়ে বর্তমানে তা ৩১ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরিণত হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবা কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।

দীর্ঘদিনের পথ পরিক্রমায় হাসপাতালটি নিজেই জীর্ণশীর্ণ হয়ে পরেছিল। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি হয়ে পরেছিল প্রাণহীন। কাংখিত সেবা না পেয়ে দিন দিন রোগীর সংখ্যা কমে যাচ্ছিল। সেই প্রাণহীন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করেন-উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল।

ডা. কামরুল হাসান সোহেল বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন ২০২১ সালের ০৬ অক্টোবর। যোগদানের পরপরই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার পরিধি এবং সেবার মান বাড়াতে সচেষ্ট হন। বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সকল চিকিৎসক, নার্স, স্যাকমো, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট, আয়া, ওয়ার্ডবয়, ক্লিনার, এম্বুলেন্স ড্রাইভার, অফিস স্টাফ সহ সবাইকে নিয়ে একটি টিম গড়ে তুলেন যেই টিমের নাম দেন তিনি ‍‍`টিম বরুড়া‍‍`। এই টিম বরুড়াকে নেতৃত্ব দেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে তিনি নেন বিশেষ উদ্যোগ। হাসপাতালে স্বাভাবিক প্রসবে জন্ম নেয়া নবজাতকদের শুভেচ্ছা উপহার দেন তিনি এবং প্রসূতিদের ফুল কোর্স এন্টিবায়োটিক, এক মাসের আয়রন ও ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট দেয়ার প্রচলন শুরু করেন। তার এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসিত হয় সর্বত্র।  ধীরে ধীরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়তে থাকে স্বাভাবিক প্রসবের সংখ্যা। আগে যেখানে ২০-২২ টি স্বাভাবিক প্রসব হতো এখন প্রতি মাসে স্বাভাবিক প্রসব হয় ৫০-৫২ টি। গত ১০ মাসে ৪৯০টি স্বাভাবিক প্রসব হয় বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ০৬ ডিসেম্বর ২০২১ ইং প্রথম বারের মতো অপারেশন থিয়েটার চালু করেন তিনি।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স  প্রতিষ্ঠার ৫৫ বছর পর তার উদ্যোগে ও সুদক্ষ পরিচালনায় চালু হয় অপারেশন থিয়েটার। 

অপারেশন থিয়েটার চালুর জন্য স্টোরে অবহেলায় পরে থাকা এনেসথেশিয়া মেশিন খুজে বের করেছেন, নষ্ট হয়ে যাওয়া ওটি লাইট মেরামত করিয়েছেন,নষ্ট হয়ে পরে থাকা এয়ার কন্ডিশন মেশিন মেরামত করিয়েছেন, অকেজো হয়ে পরে থাকা সাকার মেশিন মেরামত করিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সব যন্ত্রপাতি নিজ উদ্যোগে সংগ্রহ করেছেন।

অপারেশন থিয়েটার চালু করতে সহায়তা করেছেন জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি ডা. মাহবুব ইবনে মোমেন, জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেসথেসিয়া ডা. জুলকারনাইন মজুমদার। এপেন্ডিসাইটিসের অপারেশন দিয়ে যাত্রা শুরু হয় অপারেশন থিয়েটারের। এখন নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে অপারেশন হয় বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ১৬ মে ২০২২ ইং বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক দিনে সর্বোচ্চ ৮ টি সার্জারীর অপারেশন হয়।

করোনা মোকাবিলায় কোভিড ভ্যাক্সিনেশন এ বরুড়া উপজেলা ছিল কুমিল্লা জেলার সবচেয়ে পেছনের দিকের একটি উপজেলা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তার সঠিক পরিকল্পনা ও দিক নির্দেশনায় বরুড়া উপজেলার ৭৬% জনগণকে কোভিড ভ্যাক্সিন এর ১ম ডোজ দেয়া সম্ভব হয়, ৭০% জনগণকে কোভিড ভ্যাক্সিন এর ২য় ডোজ দেয়া সম্ভব হয় এবং ২৮% জনগণকে কোভিড ভ্যাক্সিন এর ৩য় ডোজ দেয়া সম্ভব হয়।

এছাড়া ১২-১৭ বছর বয়সী ৪৫ হাজার শিক্ষার্থীদের ফাইজার ভ্যাক্সিন এর ১ম ও ২য় ডোজ দেয়া হয়।

টিম বরুড়ার সদস্যদের কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত করতে নেন বিশেষ উদ্যোগ। প্রতি মাসে সেরা ৩ জন স্বাস্থ্য কর্মী (সিএইচসিপি, স্বাস্থ্য সহকারী, সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক)  কে সম্মাননা জানান সার্টিফিকেট ও পুরষ্কার প্রদান করার মাধ্যমে।

স্বাভাবিক প্রসব বাড়াতে সিনিয়র স্টাফ নার্স ও মিডওয়াইফদের আগ্রহী করে তুলতে প্রতি মাসে সেরা ৩ জন নার্/মিডওয়াইফ কে সম্মাননা জানানোর উদ্যোগ নেন। তার এই উদ্যোগ স্বাস্থ্যকর্মীদের তুমুল অনুপ্রাণিত করে। সবাই তার কাজের প্রতি আরো যত্নশীল হয়। সম্মাননা পেতে উদগ্রীব হয়ে উঠে নিজের সেরা সেবাটা দিতে সচেষ্ট হয় সবাই। এতে মাঠ পর্যায়ে সিএইচসিপি এবং মাঠ কর্মীদের সেবার মান বেড়েছে অনেক গুণ।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার গুণগত মান বাড়াতে এবং হাসপাতালে কর্মরতদের নিরাপত্তা বিধান করার পাশাপাশি  সেবা কর্মকান্ড মনিটরিং করতে হাসপাতালকে সিসি ক্যামেরার আওতায় নিয়ে আসেন। সেবা প্রাপ্তি দ্রুত এবং সহজলভ্য করতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিএবিএক্স লাইন চালু করেন। তার এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে কর্মরতদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবার পাশাপাশি বেড়েছে  সেবার মান, দ্রুততম সময়ে সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়েছে,রোগীদের হয়রানি কমেছে অনেকাংশে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল এর উদ্যোগে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রথমবারের মতো সিজারিয়ান অপারেশন শুরু হয় ১০ এপ্রিল ২০২২ ইং। প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত সিজারিয়ান অপারেশন হয়। গত ৪ মাসে ৪৯ টি সিজারিয়ান অপারেশন হয়েছে।

বরুড়া উপজেলা পরিষদের উপজেলা উন্নয়ন ও পরিচালন প্রকল্পের মাধ্যমে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য একটি ডেন্টাল চেয়ার, ডায়াথারমি মেশিন, পেশেন্ট মনিটর বরাদ্ধ আনেন তিনি।

প্রায় ২০ বছর পরে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৬ মে ২০২২ সালে পূর্ণাঙ্গ ডেন্টাল সেবা চালু হয়। এখানে লাইট কিউর ফিলিং, স্কেলিং, টুথ এক্সট্রাকশন সেবা দেয়া হচ্ছে বর্তমানে।

অপারেশন থিয়েটারে চালু করা হয় পেশেন্ট মনিটর যা অপারেশন চলাকালীন রোগীর ভাইটাল সাইন (রক্তচাপ, শিরা, অক্সিজেন স্যাচুরেশন, ইসিজি) দেখা হয়।

সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার মান উন্নয়নের পাশাপাশি বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মান সম্মত স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে নিয়মিত বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময় যেসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নেই এই ধরণের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা করেন এবং যারা নিয়মের ব্যত্যয় ঘটায় তাদের সতর্ক করেন।

কমিউনিটি ক্লিনিকে আগত গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ দেয়ার জন্য ডিজিটাল তথ্য প্রযুক্তি জুম মিটিং এপস এর সহায়তায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে জুম লিংক এর মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সেবা ও পরামর্শ প্রদান করেম গাইনি কনসালটেন্ট ডা. শাহনাজ বেগম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল এই উদ্ভাবনী সেবার নাম দিয়েছেন।

মাঠ পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবার মান বাড়াতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা নিয়মিত কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন,  ইপি আই সেশন পরিদর্শন,  উঠান বৈঠক, স্কুল হেলথ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন।

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল এর নানা ধরনের উদ্ভাবনী কর্মকান্ড  ও বিশেষ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের ফলে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রতি বরুড়াবাসীর আস্থা ফিরে এসেছে। সেবা নিতে আসা সাধারণ রোগীরা এখানে সেবার মান নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে। সেবাগ্রহীতার সংখ্যা ও বেড়েছে অনেক।

বহির্বিভাগে সেবা নিতে আসা রোগীদের ফুল কোর্স এন্টিবায়োটিক দেয়া হয়, বহির্বিভাগে আগে যেখানে প্রতিদিন ২৫০-৩০০ রোগী হতো এখন সেখানে প্রতিদিন ৫০০-৫৫০ রোগী হয়, জরুরি বিভাগে প্রতিদিন ৫০-৬০ জন রোগী সেবা গ্রহণ করে থাকে, অন্তঃবিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৪০-৪৫ জন রোগী ভর্তি থাকে। গড় বেড অকুপেন্সী রেট ১০৭-১০৮ শতাংশ এর উপরে থাকে।

বররুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে সুসজ্জিত এনসিডি কর্ণার। ১৪ আগস্ট ২০২২ সালে  এনসিডি কর্ণার উদ্বোধন করেন কুমিল্লা-৮(বরুড়া) আসনের সংসদ সদস্য নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এমপি। এনসিডি কর্ণার থেকে প্রতিদিন ২৫-৩০ জন সেবা গ্রহণ করেন। ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, শ্বাসকষ্টের রোগীদের ৩০ দিনের ওষুধ দেয়া হয় এনসিডি কর্ণার থেকে।

প্রতিদিন প্যাথলজিতে সেবা নেন ১৪০-১৫০ জন রোগী। আগে প্যাথলজি থেকে যেখানে প্রতিমাসে ২০০০০-২২০০০ টাকা রাজস্ব জমা দেয়া হতো এখন সেই প্যাথলজি থেকে প্রতিমাসে ১ লাখ টাকার উপরে রাজস্ব জমা দেয়া হচ্ছে সরকারি কোষাগারে।

এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়মিত কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে চোখের নানা সমস্যায় ভোগা রোগীরা সেবা গ্রহণ করে থাকেন, তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা, পরামর্শ দেয়া  ছাড়াও  ঔষধ, চশমা দেয়া হয়। প্রতিদিন ২০-২৫ জন রোগী কমিউনিটি ভিশন সেন্টার থেকে সেবা নিয়ে থাকেন।

গর্ভবতীদের গর্ভকালীন এবং গর্ভোত্তর সেবা নিশ্চিত করার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চালু রয়েছে এ এন সি ও পিএন সি কর্ণার। প্রতি মাসে চার শতাধিক গর্ভবতী মহিলা এ এন সি সেবা নিয়ে থাকেন এবং ৫০ এর অধিক নারী সেবা নিয়ে থাকেন এএনসি ও পিএনসি কর্ণার থেকে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্বাভাবিক প্রসব ও জরুরি প্রসূতি সেবা গ্রহণকারী মায়েদের বিনামূল্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স সার্ভিস দেয়া হয়।

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার চিত্র পাল্টে দেয়ার কারিগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডা. কামরুল হাসান সোহেল বলেন, স্বাস্থ্য সেবা একটি সম্মিলিত প্রচেষ্টা, একটি টিম ওয়ার্ক। আজকে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বাড়ানোর পিছনে রয়েছে আমার টিম বরুড়ার প্রতিটি সদস্যের অবদান। আমার হাসপাতালের পরিচ্ছন্ন কর্মী, ওয়ার্ডবয়, আয়া, নার্স, মিডওয়াইফ, অফিস স্টাফ, চিকিৎসক  থেকে শুরু করে আমার মাঠ কর্মী, সিএইচসিপি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বদলে গেছে বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার চিত্র। আমি তাদের সবার প্রতি কৃতজ্ঞ, তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

আমি ধন্যবাদ জানাই বরুড়া উপজেলার মাটি ও মানুষের নেতা, জননেতা, কুমিল্লা-৮(বরুড়া) আসনের সংসদ সদস্য  নাছিমুল আলম চৌধুরী নজরুল এমপি মহোদয়কে, সবসময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান কিভাবে বাড়ানো যায় তার প্রতি সচেষ্ট।

আমি ধন্যবাদ জানাই বরুড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ এন এম মইনুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা, জাইকা, বরুড়া ডক্টরস ফোরাম  সহ সকলের প্রতি যারা বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বাড়াতে সবসময়ই আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন।

বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বাড়াতে আমাকে সবসময় দিক নির্দেশনা দিয়েছেন, পরামর্শ দিয়েছেন, নানাভাবে অনুপ্রাণিত করেছেন কুমিল্লা জেলার সুযোগ্য সিভিল সার্জন ডা. মীর মোবারক হোসাইন। স্যারের সুযোগ্য নেতৃত্বে, সঠিক পরিকল্পনায় এগিয়ে যাচ্ছে কুমিল্লা জেলার স্বাস্থ্য খাত, তারই ধারাবাহিকতায় বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবার মান বেড়েছে। আমি সিভিল সার্জন স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাাশ করছি, স্যারকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই বরুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেবার মান বাড়াতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য।

এআই

Link copied!