Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪,

সোনাদিয়ার কটেজ সরাতে বেজার নির্দেশ

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, মহেশখালী (কক্সবাজার)

ফুয়াদ মোহাম্মদ সবুজ, মহেশখালী (কক্সবাজার)

ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৩, ০১:১৩ পিএম


সোনাদিয়ার কটেজ সরাতে বেজার নির্দেশ
মহেশখালীর সোনাদিয়ায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক কটেজ। ছবি: আমার সংবাদ। 

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়ায় আগত পর্যটকদের জন্য গড়ে তোলা বাণিজ্যিক কটেজ অপসারণ করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষ (বেজা)।

গত ২৬ জানুয়ারি বেজার উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে এ নির্দেশনা দেয় বেজা।

চিঠিতে সোনাদিয়ায় অপরাধ এবং অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে পর্যটকদের রাত যাপনে নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অবৈধ কটেজ অপসারণ করতে বলা হয়।

ইস্যুকৃত চিঠিতে সোনাদিয়াকে বেজা পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে আখ্যা দিলেও সেখানেই পার্ক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় বেজা। যদিও সম্ভাব্য স্থাপিত পার্ককে ইকো-ট্যুরিজম পার্ক বলে দাবি করেছে তাঁরা।

তবে পরিবেশবিদরা বলছেন, কোনো অবস্থাতেই সোনাদিয়ায় কোনো স্থাপনা নির্মাণসহ দ্বীপে অধিক লোকারণ্য করা যাবেনা। কারণ লোকে লোকারণ্য ও পার্ক নির্মিত হলে সোনাদিয়ার সংকটাপন্ন পরিবেশ শূণ্যের কোটায় নেমে হুমকির মুখে পড়বে। এমনকি ধ্বংসও হয়ে যেতে পারে এ দ্বীপ।

বেজার চিঠিতে সোনাদিয়াকে ১৯৯৯ সালে পরিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকার কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে- সোনাদিয়ার প্রাকৃতিক বন ও গাছপালা কাটা, বন্যপ্রাণী হত্যা, উদ্ভিদের আবাসস্থল ধ্বংস, বায়ু বা শব্দ দূষণ হয় এমন শিল্প প্রতিষ্ঠান করা এবং বর্জ্য নির্গমন ও কোনো উপায়ে পাথরসহ খনিজসম্পদ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে বহু আগে থেকেই।

এছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে বেজার সপ্তম সভায় সোনাদিয়ার ভূ-প্রকৃতি ও পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নান্দনিক এবং পরিবেশ-বান্ধব স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে ইকো-ট্যুরিজম করার কথাও উল্লেখ করা হয় চিঠিতে।

বেজার উপসচিব মোহাম্মদ নাজমুল হাসানের স্বাক্ষরিত চিঠিতে সোনাদিয়ার অভ্যন্তরে গড়ে ওঠা বাণিজ্যিক কটেজ অপসারণসহ পর্যটকদের রাত যাপন নিষিদ্ধ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল (বেজা)।

এদিকে পরিবেশবিদরা ইকো পার্কের জন্য অন্য কোনো এলাকা নির্বাচন করার জন্য সরকারকে অনুরোধ করেছেন। তবে  সরকার তাঁর জায়গা থেকে এক চুল পরিমাণও নড়েনি।

প্রকল্প কর্তৃপক্ষের সর্বোত্তম উদ্দেশ্য থাকা সত্ত্বেও ভারি স্থাপনা নির্মাণ এবং পর্যটকদের আগমন দ্বীপের জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলে তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

এআরএস

Link copied!