Amar Sangbad
ঢাকা বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩, ১৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩০

বুড়িচংয়ে মসজিদে ইমামের আলোচনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৯

বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

বুড়িচং (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

মার্চ ২৮, ২০২৩, ০৭:২৪ পিএম


বুড়িচংয়ে মসজিদে ইমামের আলোচনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৯

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদে তারাবির নামাজের সময় ইমামের আলোচনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৯ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন রয়েছে।

সোমবার (২৭ মার্চ) অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়া মুনাফ মিয়া পরিবারের সাথে একই এলাকার ও মসজিদের ইমাম মাওলানা ফেরদৌস এর সাথে দীর্ঘ দিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলে আসছে। খাড়াতাইয়া পূর্বপাড়া বায়তুল জামে মসজিদে পবিত্র মাহে রমজানের তারাবির নামাজ পড়ানো জন্য দায়িত্ব পায় বুড়িচং মডেল স্কুলের শিক্ষক মাওলানা মো. ফেরদৌস। আব্দুল মুনাফ মিয়ার পরিবারের অভিযোগ রোববার ওই মসজিদে তারাবির নামাজের আগ মূহুর্তে পারিবারিক দ্বন্দ্ব জের নিয়ে আলোচনা করে ইমাম মো. ফেরদৌস। ইমামের এমন আলোচনা শুনে প্রতিবাদ করেন আব্দুল মুনাফের ছেলে রনি, জনি, কাফিসহ আরো কয়েকজন মুসল্লি। তখন মসজিদের ভিতরে মুসল্লিদের উত্তেজনা পরিবেশ সৃষ্টি হলে প্রতিবাদকারী ব্যক্তিরা বাড়িতে চলে যায়। নামাজ শেষে ওই রাতে ইমাম ফেরদৌসের লোকজন লাঠিসোঁটা নিয়ে মুনাফের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। এসময় উভয় পক্ষের ৯-১০ লোকজন গুরুতর ভাবে আহত হয়।

আহত ব্যক্তিরা হলেন একই এলাকার মৃত.আব্দুল জলিলের ছেলে মো. সেলিম(৫০), মৃত.হারিজ মিয়ার ছেলে আরিফ(৩০),আব্দুল মুনাফের ছেলে রনি(৩০), জনি(২০), কাফি(১৮), আব্দুল জলিলের ছেলে আবুল হাসেম নবি(৫০) ও আব্দুল মুনাফের স্ত্রী নিলুফা বেগম(৫০)। এ বিষয়ে মসজিদের ইমাম ফেরদৌস প্রতিনিধিকে জানান,পারিবারিক বিষয় নিয়ে মসজিদে আমি আলোচনা করি নাই। আমি ধর্মীয় বিষয়, কোরআন ও হাদিসের আলোকে আলোচনা করতেছিলাম। এমন সময় ওরা আমার এ আলোচনাকে নিজেদের গায়ে লাগিয়ে ফেতনা সৃষ্টি করে পরিবেশ গোলাটে করলে মুসল্লিদের সাথে হাতাহাতি হয়। এতে মুসল্লিদের মধ্যে আহত হয় কবির হোসেন,মাহবুব,জাহাঙ্গীর, ইসহাক,হেলাল উদ্দিন সহ আরো অনেকে।

মুনাফা মিয়ার স্ত্রী ও ছেলেরা জানান,মসজিদের ইমাম হামলা চালিয়ে থেমে যায়নি। দিনেও তিনি কুমিল্লা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে এনে তাদের ফার্নিচার দোকানে ভাংচুর করেছে। প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আমরা চেয়ারম্যান ও পুলিশকে অবগত করেছি। আমরা এ কর্মকান্ডের সঠিক বিচার চাই।

এ বিষয়ে মসজিদের সভাপতি হাজী মো. আব্দুর রশিদ মূল ঘটনা জানাতে নারাজ।

এ বিষয়ে ষোলনল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাজী. বিল্লাল হোসেন বলেন,আমি ঘটনার বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করেছি।ঘটনা সত্যতা জেনে মিমাংসার জন্য উভয়ের সাথে বৈঠকে বসবো।

এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি তদন্ত (পরিদর্শক) মো. কবির হোসেন বলেন, ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ ফোর্স পাঠানো হয়েছে।অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আরএস
 

Link copied!