Amar Sangbad
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪,

ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্ক

সাইরেন আছে শব্দ নেই

বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি

বামনা (বরগুনা) প্রতিনিধি

মে ১৩, ২০২৩, ০২:২৩ পিএম


সাইরেন আছে শব্দ নেই

বরগুনার বামনা উপজেলার দূর্যোগ প্রবণ এলাকা রামনা ইউনিয়নের শের-ই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘূর্ণিঝড়ের মহাবিপদ সংকেত প্রচারে জাইকার অর্থায়নে স্থাপন করা হয় পলিফোনিক সাইরেন। স্থাপনের সময় সাইরেনটি বাজলেও বর্তমানে সাইরেন আছে কিন্তু নেই তার কোন শব্দ। ফলে মহাবিপদ সংকেতের সময় স্থানীয়রা বুঝতেই পারেনা দুর্যোগের বিষয়ে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, ২০০৭ সালে সুপার সাইক্লোন সিডরে বাংলাদেশে হাজার হাজার মানুষের প্রাণহানি ঘটে। পরবর্তিতে ঘূর্ণিঝড়ের ছোবল থেকে মানুষকে বাঁচাতে মহাবিপদ সংকেত প্রচারের জন্য ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (জাইকা) অর্থায়নে বামনা উপজেলার রামনা শের-ই বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনে স্টীলের পাইপে উঁচু করে স্থাপন করা হয় পলিফোনিক সাইরেন। ৬টি ছোট মাইক সংবলিত উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন এই পলিফোনিক সাইরেনটির আওয়াজ তিন বর্গকিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম। কেবল ৮নং মহাবিপদ সংকেত দেখানোর প্রয়োজন হলে এ ধরনের সাইরেন বাজিয়ে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য সতর্ক করা হয়। তবে দুর্যোগের সময় এ সাইরেনটি কোনো কাজেই আসছে না। এটি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে গত ৯ বছর ধরে।

এদিকে বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে। আবহাওয়া দপ্তর ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করেছেন। অথচ এই মহাবিপদ সংকেতে পরিফোনিক সাইরেনটি বাজানোর কথা থাকলেও দীর্ঘদিন অকেজো থাকার কারণে সেটি বাজানো সম্ভব হয়নি।

রামনা শের-ই বাংলা সমবায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মো. কামাল হোসেন জানান, সাইরেনটির মাইক ভালো আছে। তবে এটি চালাতে হলে যে ব্যাটারী প্রয়োজন সেটি বর্তমানে নষ্ট রয়েছে। ব্যাটারী লাগালে এটি বাজতে  পারে।

বামনা উপজেলা যুব রেড ক্রিসেন্ট দলনেতা মো. হাসিবুর রহমান বলেন, মহাবিপদ সংকেত প্রচারের জন্য উচ্চক্ষমতার এই সাইরেনটি বসানো হয়েছিল। এটির ক্ষমতা ৩ বর্গকিলোমিটার। বর্তমানে সাইরেনটি অকেজো। ফলে আসন্ন মোখা ঝড়ে মানুষ সাইরেন শুনতে না পেয়ে বিপদে পরতে পারেন।

রামনা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আ. খালেক জমাদ্দার বলেন, ৮নং মহাবিপদ সংকেত প্রচারে এবং মানুষের কাছে সাইরেনের শব্দ পৌঁছাতে এই পলিফোনিক সাইরেনটির অতি প্রয়োজন ছিল।

বামনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অন্তরা হালদার বলেন, অকেজো সাইরেনটি সারানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।

নির্ঝর/এআরএস

Link copied!