কক্সবাজার প্রতিনিধি
অক্টোবর ২, ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
কক্সবাজার প্রতিনিধি
অক্টোবর ২, ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
পরিকল্পিত নগরায়ন, সমৃদ্ধ হবে পর্যটন’ এ প্রতিপাদ্যে কক্সবাজারে উদযাপন করা হয়েছে বিশ্ব বসতি দিবস। এ উপলক্ষে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে র্যালি ও সেমিনার।
র্যালীতে দেখা যায়, রঙ-বেরঙের ব্যানার, ফেস্টুন ও প্লে-কার্ড নিয়ে নানান শ্রেণী পেশার মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নেয়।
সোমবার (২ অক্টোবর) কউক ভবন থেকে র্যালিটি বের হয়ে হোটেল মোটেল জোন প্রদক্ষিণ করে একইস্থানে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সোলাইমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কউক এর সদস্য (প্রকৌশল) লে. কর্নেল তাহসিন বিন আলম, কউক সচিব আবুল হাসেম, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র জিএম মো. আবু হেনা উপস্থিত ছিলেন।
পরে কউক মাল্টিপারপাস হলে অনুষ্ঠিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কউক চেয়ারম্যান কমোডর (অব.) মোহাম্মদ নুরুল আবছার।
অনুষ্ঠিত সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কক্সবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. সোলাইমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান৷
প্রধান অতিথির বক্তব্যে কউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘আশ্রয় আমার অধিকার’ এই বিষয়টি মাথায় রেখে স্থিতিশীল নগর অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও পুনরুদ্ধারে টেকসই নগরসমুহই চালিকা শক্তি এই প্রতিপাদ্যে কউক বিশ্ব বসতি দিবস পালন করেছে আজ। প্রধানমন্ত্রী তার ভিশন নিয়ে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করে পৃথিবীর কাছে পরিচিত করেছেন।
প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রযাত্রায় যে পরিকল্পনাগুলো আছে তা ২০৪১ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন সম্ভব হবে যদি আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করি। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পৃথিবীর ৩৫তম অর্থনৈতিক দেশ। যদি আমরা বড় ধরণের দুর্যোগের সম্মুখীন না হয় এবং আমাদের জিডিপি বাড়াতে পারি তবে আশা করি পৃথিবার প্রথম ১০টা অর্থনীতির কাছেই থাকবে। এক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করে আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারকে সবার জন্য বাসযোগ্য করতে মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। জেলাকে পরিকল্পিত নগরায়ন করতে হবে। ভবিষ্যত প্রজন্মের কথা চিন্তা করেই টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
এ সময় কক্সবাজার গণপূর্তের প্রকৌশলী শাহজাহান, পদস্থ সরকারি কর্মকর্তা, শিক্ষক, জনপ্রতিনিধিসহ অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কর্মকর্তা ও সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এআরএস