Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪,

খাগড়াছড়িতে সংবর্ধনা পেলেন পুলিশের ৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৭:২১ পিএম


খাগড়াছড়িতে সংবর্ধনা পেলেন পুলিশের ৪ বীর মুক্তিযোদ্ধা

খাগড়াছড়িতে জাতির শ্রেষ্ট সন্তান মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী চার  পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করেন খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) খাগড়াছড়ি  পুলিশ সুপার কার্যালয় এর সম্মেলন কক্ষে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন  খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) ।

শুরুতে খাগড়াছড়ি জেলার ৪ জন পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর । পরে পুলিশ অফিস সম্মেলন কক্ষে পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ অনুভূতি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা ব্যক্ত করেন ।

অনুষ্ঠানে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার মুক্তা ধর অনুষ্ঠানের শুরুতে  খাগড়াছড়ি  জেলার ০৪ জন  পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার)।

পরে পুলিশ সুপার কার্যালয় এর  সম্মেলন কক্ষে  পুলিশ বীর  মুক্তিযোদ্ধাগণ অনুভূতি ও মুক্তিযুদ্ধকালীন তাদের স্মৃতিবিজড়িত ঘটনা ব্যাক্ত করেন ।

সভাপতির বক্তব্যে খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) বলেন, ১৯৭১ সালের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বলেন রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে ১৯৭১ সালে সর্বপ্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হয়েছিল। ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাকিস্তানি বাহিনী কর্তৃক যে অপারেশন সার্চলাইট পরিচালিত হয় সেই অপারেশনের  প্রথম লক্ষ্য ছিল রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করা। ২৫ শে মার্চ রাত্রে পাকিস্তানি বাহিনী রাজারবাগ পুলিশ লাইন ঘিরে ফেলে তখন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রথম বুলেট নিক্ষিপ্ত হয় চামেলিবাগ পুলিশ ব্যারিকেড থেকে, যার ফলে নিহত হন দুইজন পাকিস্তানি সেনা। পুলিশদের অস্ত্র ও গোলা বারুদ ফুরিয়ে গেলে হানাদার বাহিনী তুমুল গতিতে আক্রমণ শুরু করে। পাকিস্তানি সেনারা সারারাত গুলি ও কামানের গোলা বর্ষন করে বহু পুলিশ হত্যা করে। এখান থেকেই শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।এসময় জেলা পুলিশ সুপার উপস্থিত মুক্তিযুদ্ধাগনের শারীরিক ও পারিবারিক খোঁজ খবর নেন এবং খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সবসময় মুক্তিযোদ্ধাদের যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে আছেন এই অভিপ্রায় ব্যাক্ত করেন।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) জনাব মাহমুদা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম অ্যান্ড অপস) জনাব মোঃ জসীম উদ্দিন পিপিএম, খাগড়াছড়ি সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মোঃ তফিকুল আলম ছাড়াও জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার  মুক্তা ধর পিপিএম (বার) জাতির শ্রেষ্ট সন্তান  ৪ পুলিশ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে  সম্মাননা স্মারক তুলেদেন।

আরএস
 

Link copied!