ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad
রাজৈরে ঘরে ঘরে শোকের মাতম

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মাদারীপুরের ১০ জন নিহত

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর

জাহিদ হাসান, মাদারীপুর

ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৫, ১২:০০ এএম

ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে মাদারীপুরের ১০ জন নিহত

মাদারীপুরের রাজৈরে ঘরে ঘরে চলছে শোকের মাতম। অবৈধভাবে সমুদ্রপথে ইতালী যাবার সময় নৌকাডুবিতে নিহত ২৩ জনের মধ্যে ১০ জনের পরিচয় মিলেছে। তাদের বাড়ি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায়।

এ ঘটনায় জড়িত দালালদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

পুলিশ বলছে, এ ব্যাপারে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। আর নিহতদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

জানা গেছে, দালালদের খপ্পড়ে পড়ে গত পহেলা জানুয়ারি ইতালির উদ্দেশ্যে বাড়ি ছাড়ে মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার পশ্চিম স্বরমঙ্গল গ্রামের চা বিক্রেতা হাসান হাওলাদারের ছেলে টিটু হাওলাদার। তার সাথে মামা গোবিন্দপুরের বাসিন্দা আবুল বাশার আকনও যোগ দেন।

গত ২৪ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যাত্রা করেন তারা। মাঝপথে ভূমধ্যসাগর নৌকাডুবিতে প্রাণ হারায় মামা আবুল বাশার ও তার ভাগনে টিটু।

সোমবার সকালে মৃত্যুর খবর আসলে পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া।

নিহতদের মধ্যে রয়েছে রাজৈর উপজেলার গোবিন্দপুরের ইনসান শেখ, শাখার পাড়ের সজীব মোল্লা, সাদবাড়িয়ার রাজীব, সুন্দিকুড়ির সাগর বিশ্বাস, আশিস কীর্তনীয়া, সাগর বাড়ৈ ও বৌল গ্রামের অনুপ সরদার।

এ ঘটনায় মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার ১০ জনসহ ২৩ জনের লাশ উদ্ধার করেছে লিবিয়ার কোস্টগার্ড।

ভিটেমাটি বিক্রি করার পাশাপাশি চড়া সুদে টাকা এনে দালালদের হাতে লাখ লাখ টাকা তুলে দিলেও শেষরক্ষা হয়নি। এ ঘটনায় মূলহোতা রাজৈর হরিদাসদি গ্রামের স্বপন মাতুব্বর, মজুমদারকান্দি গ্রামের মনির হাওলাদার ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলীপুরের রফিক দালাল।

এ ঘটনায় জড়িত দালালদের কঠোর শাস্তি দাবি করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী। পাশাপাশি নিহতদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন তারা।
নিহত টিটু হাওলাদারের বাবা হাসান হাওলাদার বলেন, আমি সামান্য চা দোকানি। আমাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে আমার ছেলেকে ইতালি নেয়ার জন্য টাকা নেয়। এখন শুনি ছেলে মারা গেছে। আমি দালালের বিচার চাই।

নিহত আবুল বাসার আকনের ভাই বাচ্চু আকন বলেন, দালালরে টাকা দিয়ে আমরা সর্বশান্ত। এখন আমার ভাইয়ের লাশ চাই।

রাজৈর থানার ওসি মাসুদ খান বলেন, দালালদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহতদের লাশ দেশে ফিরিয়ে আনতে দূতাবাসের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও নেয়া হবে।

ইএইচ

Link copied!