Amar Sangbad
ঢাকা মঙ্গলবার, ২০ মে, ২০২৫,

মাগুরায় ‘নিষিদ্ধ’ ছাত্রলীগ নেতা রুবেল গ্রেপ্তার

মাগুরা জেলা প্রতিনিধি:

মাগুরা জেলা প্রতিনিধি:

মে ২০, ২০২৫, ১১:১৯ এএম


মাগুরায় ‘নিষিদ্ধ’ ছাত্রলীগ নেতা রুবেল গ্রেপ্তার

মাগুরা শহরে চাঞ্চল্যকর গুলিবর্ষণের ঘটনায় আলোচিত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মীর মেহেদী হাসান রুবেলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল রাত দেড়টার দিকে মাগুরা শহরের ঢাকা রোড এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক রুবেল নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের মাগুরা জেলা কমিটির সাবেক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

পুলিশ জানায়, রুবেল দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে তিনটি নিয়মিত মামলা রয়েছে। গত ৪ আগস্ট ঢাকা রোড এলাকায় সংঘটিত গুলিবর্ষণের ঘটনায় তিনি সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ওই ঘটনায় মাগুরা জেলা ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান রাব্বি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. ফরহাদ হোসেন নিহত হন।

মৃত রাব্বির ভাই ইউনুস আলী গত ১৩ আগস্ট মাগুরা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক দুই সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান শিখর ও বীরেন শিকদারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। একই মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয় ১৫০ থেকে ২০০ জনকে। পরবর্তীতে ফরহাদ হোসেন হত্যার ঘটনায় ২১ আগস্ট আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়, যেখানে ৬৯ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

মাগুরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আইয়ুব আলী গণমাধ্যমকে জানান, ‘মীর মেহেদী হাসান রুবেল দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতরাতে তাকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোয় তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।’

এই দুটি হত্যাকাণ্ড এবং ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ও গ্রেফতার প্রক্রিয়া নিয়ে মাগুরা তথা ফেসবুক পর্যায়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। বিরোধী দলগুলো দাবি করছে, সরকারদলীয় প্রভাবশালী নেতাদের রক্ষায় মামলাগুলোতে প্রভাব খাটানো হচ্ছে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন দলের একাংশ বলছে, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, অভিযুক্তদের অনেকেই রাজনীতির আড়ালে অপরাধে লিপ্ত ছিলেন এবং প্রভাব খাটিয়ে আইনের আওতার বাইরে থাকার চেষ্টা করেছেন। তবে সাম্প্রতিক গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে প্রশাসনের অবস্থান কিছুটা স্পষ্ট হয়েছে।

এ ঘটনার তদন্তে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার এবং স্থানীয় নাগরিক সমাজ।

বিআরইউ

Link copied!