বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত

বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।

রোববার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এ সিদ্ধান্তকে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা হিসেবে উল্লেখ করলেও অনেক নেতা মনে করছেন, এটি বিএনপি দলীয় সাবেক এমপি ও বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবুল হোসেন খানের সমর্থিত কমিটির পরাজয়।

সূত্রে জানা গেছে, আবুল হোসেন খান ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাকেরগঞ্জের বিলুপ্ত ইউনিয়ন কমিটিগুলো পুনরায় সক্রিয় করে নতুন ইউনিয়ন ও উপজেলা কমিটির নামে বিভিন্ন ওয়ার্ডে পকেট কমিটি গঠন করেন। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শেষে কেন্দ্রীয় দলীয় সিদ্ধান্তে উপজেলা কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগপন্থীদের পুনর্বাসনের অভিযোগও রয়েছে।

রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, বরিশাল দক্ষিণ জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির গঠিত কমিটির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে তদন্ত টিম গঠন করা হয়েছিল। তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে ফ্যাসিস্টবিরোধীদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, আগের কমিটির সদস্য সচিব নাসির হাওলাদারকে নতুন কমিটিতে আহ্বায়ক, সদস্য সচিব বা যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে না রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। একই নির্দেশনা দেওয়া হয় অভিযোগকারী দুই নেতা আবদুল মালেক সিকদার ও শওকত হোসেন হাওলাদারকে নিয়েও।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান বলেন, কেন্দ্র থেকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে শুনেছেন, তবে এখনো সেটি হাতে পাননি।

এ বিষয়ে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আক্তার হোসেন মেবুল বলেন, “আবুল-শাহিন কোনো সাংগঠনিক পদ্ধতিতে কমিটি করেননি, বরং পকেট কমিটি করেছেন। তিন মাসের দায়িত্ব নিয়ে তিন বছরেও একটি কার্যকর কমিটি গঠন করতে পারেননি।”

তিনি আরও বলেন, “আবুল হোসেন এলাকাজুড়ে জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন। তিনি জাসদের নেতা ছিলেন, বিএনপির সংস্কৃতি বোঝেন না। তার করা কমিটিগুলোতে ফ্যাসিস্টদের স্থান দেওয়া হয়েছে। এজন্য আমরা দক্ষিণ জেলা কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলন করছি।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমান বলেন, “বাকেরগঞ্জে আওয়ামী পুনর্বাসনের উৎসব চলছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে যেভাবে কমিটি গঠন করা হয়েছিল, কেন্দ্রীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়া হয়েছে। নতুন কমিটিতে আওয়ামী ঘরানার কেউ ঠাঁই পাবে না।”

ইএইচ