ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি:
জুলাই ৭, ২০২৫, ০১:৪২ পিএম
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানার পুলিশ সদস্যের বাসা থেকে রিভলবার, গুলি ও ম্যাগাজিন চুরির ঘটনায় তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। অস্ত্র উদ্ধার হওয়ার পর এবার গ্রেপ্তার হয়েছে ঘটনার মূল হোতা—দুই ভায়রা সুমন ও সাইদুল ইসলাম।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা পেশাদার চোর এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় চুরির সঙ্গে জড়িত ছিল। দুই ভায়রার একজন, সুমন (৩৫) রাজধানীর শাহ আলী থানা এলাকায় এবং অপরজন সাইদুল ইসলাম (৩৮) ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কেওতা গ্রামে বসবাস করতেন।
গত ৩ মে পরিকল্পনা অনুযায়ী তারা ফরিদগঞ্জ এসে একটি আবাসিক হোটেলে রাতযাপন করেন। পরদিন সুমন ফরিদগঞ্জ বাজার সংলগ্ন একটি চারতলা ভবনের চতুর্থ তলায় থাকা এসআই রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়ার বাসায় প্রবেশ করে তালা ভেঙে রিভলবার, ১৬ রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন চুরি করে বেরিয়ে যান।
ঘটনার ১১ দিনের মাথায় ঢাকার শাহ আলী থানা এলাকা থেকে সুমনকে গ্রেপ্তার করে চাঁদপুর জেলা ডিবি ও শাহ আলী থানা পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যে বরগুনার এক ব্যক্তি রুবেলের কাছ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। রুবেলও গ্রেপ্তার হয়ে পরে স্বীকারোক্তি দেন।
পরে রিমান্ডে সুমনের জবানবন্দিতে বেরিয়ে আসে তার ভায়রা সাইদুলের সম্পৃক্ততা। এরপর ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিম ঝালকাঠির রাজাপুর থানার সহায়তায় ৫ জুলাই রাতে অভিযান চালিয়ে সাইদুলকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর সাইদুলও চুরির সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
পুলিশ জানায়, দুইজনই দীর্ঘদিন ধরে চুরির সঙ্গে জড়িত থাকলেও আগে চিহ্নিত হয়নি। তারা বিভিন্ন জেলার বাসা ও প্রতিষ্ঠান টার্গেট করে চুরি করত। রিমান্ডে থাকা অবস্থায় সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মো. শাহ্ আলম বলেন, ‘সরকারি অস্ত্র চুরির ঘটনায় জড়িত দুই ভায়রাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুমন আদালতে স্বীকার করেছে, তারা মিলে এ চুরির পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন করেছে।’
পুলিশ আরও জানিয়েছে, মামলার তদন্ত চলছে এবং চক্রটির সঙ্গে জড়িত আরও কেউ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
বিআরইউ