নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জুলাই ৭, ২০২৫, ০৫:২৫ পিএম
ময়মনসিংহের ত্রিশালে অবস্থিত জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে জুলাই হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
সোমবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের নিচতলায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষর করে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, “বৈষম্যমুক্ত ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য শুরুতে এগিয়ে এসেছে আমাদের ছাত্রসমাজ। এরপর দেশের সর্বস্তরের মানুষ নিজেদের অবস্থান থেকে ত্যাগ ও সংগ্রামের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু এখনও কিছু চিহ্নিত অপশক্তি ষড়যন্ত্র ও বৈষম্যের মাধ্যমে দেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত করছে। এই অপশক্তি ও হত্যাকাণ্ডের জন্য যারা দায়ী, তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে—এই দাবিতেই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি।”
তিনি আরও বলেন, “জুলাই হত্যাকাণ্ডে আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের জন্য সরকার ইতোমধ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। আমরা আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি এবং আশা করি সবাই মিলে একটি বৈষম্যহীন ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে একযোগে কাজ করব।”
গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইমদাদুল হুদা, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. বখতিয়ার উদ্দিন, আইন অনুষদের ডিন মুহাম্মদ ইরফান আজিজসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী।
উদ্বোধনের পর শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে গণস্বাক্ষরে অংশ নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, এই গণস্বাক্ষর কর্মসূচি ১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এতে প্রতিটি স্বাক্ষর খুনিদের বিচারের দাবিকে আরও জোরালো করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাসব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, প্রামাণ্যচিত্র ও আলোকচিত্র প্রদর্শনী, বিশেষ দোয়া এবং শোক র্যালি। গণস্বাক্ষর কর্মসূচি এ আয়োজনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সর্বস্তরের মানুষকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে সোচ্চার কণ্ঠে বলার সাহস জোগাবে—‘খুনিদের বিচার চাই’।
ইএইচ