রাইসুল ইসলাম লিটন, টাঙ্গাইল
আগস্ট ১৭, ২০২৫, ০৫:১২ পিএম
টাঙ্গাইলের নাগরপুরের মাহমুদনগর ইউনিয়ন ভূমি উপসহকারী কর্মকর্তা মো. ফরহাদ আলীর বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, তিনি সাধারণ সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত অর্থের বাইরে অতিরিক্ত টাকা দাবি করেন এবং তা না দিলে সেবা প্রদান বন্ধ রাখা হয়। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলেও বিভিন্নভাবে হুমকি ও হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।
গত ১২ আগস্ট স্থানীয় ২৮ জন বাসিন্দার স্বাক্ষর সংযোজন করে জেলা প্রশাসকের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন মো. আলমাছ উদ্দিন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, জমির নামজারি করতে গেলে ফরহাদ আলী লাখ লাখ টাকা দাবি করেন; যেখানে এক ব্যক্তির জমির খাজনা মাত্র দুইশ টাকা, সেখানে তিনি পঞ্চাশ হাজার টাকা দাবি করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা তোলাসহ সকল ভূমি সংক্রান্ত কাজে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছেন। এছাড়া গ্রাহকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হয়রানির অভিযোগও রয়েছে।
সেবা নিতে আসা নুরুল ইসলাম, আবুসাইদ ও মো. ফজলুল হক জানান, চাহিদামত টাকা না দিলে কোনো সেবা পাচ্ছেন না। তারা ফরহাদ আলীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
অভিযোগকারী আলমাছ উদ্দিন বলেন, “ফরহাদ আলীর গ্রামের বাড়ি গোপালপুরে হলেও তিনি টাঙ্গাইল শহরে বসবাস করেন এবং বিলাসবহুল গাড়িতে যাতায়াত করেন। বিষয়গুলো তদন্ত করলে আরও অনেক দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য বের হবে।”
অভিযুক্ত কর্মকর্তা ফরহাদ আলী মুঠোফোনে জানান, “আলমাছ উদ্দিন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন, তিনি একজন দলিল লেখক। অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।”
নাগরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দ্বীপ ভৌমিক বলেন, “এ বিষয়ে অফিসিয়ালভাবে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে আইনগত তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইএইচ