Amar Sangbad
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪,

অভিনেতা মনোজের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:

মার্চ ৩০, ২০২৩, ০৩:১৯ পিএম


অভিনেতা মনোজের বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং অভিনেতা মনোজ প্রামানিকের বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে স্বাক্ষর জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে। 

ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০ (এম.এ) শিক্ষাবর্ষের  স্নাতকোত্তর  শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় অভ্যন্তরীণ পরীক্ষক মনোজ কুমার প্রামাণিক শিক্ষার্থীদের নির্মিত আংশিক কাজ দেখে মূল্যায়ন করে তার প্রদেয় নাম্বার জমা দিয়ে ঢাকা চলে যান এবং ১৬ মার্চ পরীক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ না করেও ১৬ মার্চ দেখিয়ে স্বাক্ষর করেন।

বিভাগের শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়,  ২০১৯-২০ (এম.এ) শিক্ষাবর্ষের  স্নাতকোত্তর  শ্রেণীর দ্বিতীয় সেমিস্টার পরীক্ষায় ফিল্ম এডিটিং এন্ড সাউন্ড ডিজাইন (৫০৯ নং কোর্স) এর চুড়ান্ত ব্যবহারিক পরীক্ষা চলতি বছরের ১২-১৬ মার্চ ৫দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হয়। ১৬ মার্চ চূড়ান্ত পরীক্ষা গ্রহনের কথা থাকলেও অভ্যন্তরীণ পরীক্ষক হিসেবে মনোজ কুমার প্রামাণিক সেদিন পরীক্ষা গ্রহণ কার্যক্রমে অংশ নেন নি।

একই দিন পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর পরীক্ষার হলে গিয়ে কেবল মাত্র কোর্স শিক্ষককে দেখতে পেয়েছেন বলেও জানায় বিভাগটির স্নাতকোত্তর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী।

পরীক্ষার আগেই স্বাক্ষর নেয়া ও অনুপস্থিত থাকার বিষয়ে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত)  আব্দুল হালিম বলেন, কমপক্ষে দুজন পরীক্ষকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক তা হলে সেটা নিয়মের ব্যত্যয়।

পূর্বে স্বাক্ষর করা যায় কিনা সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. হুমায়ুন কবীর বলেন, পরের সময়ের কাজ মানে স্বাক্ষর পূর্বে করার সুযোগ নেই। সেটি করে থাকলে তা অবশ্যই অপরাধ। তার থেকেও বড় কথা মানুষের এক মিনিটের ভরসা নেই সেখানে পরের কাজ আগে কিভাবে করবে? তাই সেটি গ্রহণযোগ্য নয়।

মনোজ কুমার প্রামাণিকের চূড়ান্ত পরীক্ষার দিনে অনুপস্থিত থাকা ও স্বাক্ষর প্রদানের বিষয়ে তিনি বলেন, নির্ধারিত দিনের পূর্বে স্বাক্ষর প্রদান করা যথাযথ নয়। এটি নিয়মের সংগে সংগতিপূর্ণ নয়। তবে সেটির নিশ্চয়তা থাকতে হবে যে ওই শিক্ষক সেদিন বিভাগে ছিলেন না।

এ বিষয়ে পরীক্ষা কমিটির সভাপতি ও বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. তুহিন অবন্তকে ফোন দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি

অন্যদিকে কোর্স শিক্ষক মাশকুরা রহমান রিদম বলেন, আমি মুঠো ফোনে কোন বক্তব্য দেবো না।

অভিযোগ নিয়ে মনোজ কুমার প্রামাণিক গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। ওইদিন আমি বিভাগেই ছিলাম। আর আমি কখন কি করবো, কখন নাম্বার দিবো সেটি তো শিক্ষার্থীদের বলে দিবো না। আমি ৫ বছর পর তাদের দেখবো।

বিশ্বস্ত সূত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার জন্যে ব্যবহৃত সিসি ক্যামেরাতেও ১৬ মার্চ মনোজ কুমার প্রামাণিকের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।

স্নাতকোত্তর ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, মনোজ কুমার প্রামাণিক তার পছন্দের কয়েকজন শিক্ষার্থীকে প্রাধান্য দিয়ে নম্বর প্রদান করেন। যা মার্কশীট দেখলেই বোঝা যাবে। যার অন্যতম নজির এক শিক্ষার্থীকে ইনকোর্স পরীক্ষায় ৪০ এর মাঝে ৪০ প্রদান করা।

আরএস

Link copied!