নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২৯, ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
নিজস্ব প্রতিবেদক
মার্চ ২৯, ২০২৪, ০৭:৪৩ পিএম
বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে যে নিরাপদ এবং সুন্দর একটি ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীরা পেয়েছিল, তা দেশব্যাপী সকলের কাছে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয় হয়েছে। তবে এরই মধ্যে বুয়েটে একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের বেশ কজন শীর্ষস্থানীয় নেতা প্রবেশে কর্তৃপক্ষের সদুত্তর এবং জবাবদিহিতার অনুপস্থিতে ব্যাপারটি নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছে ধোঁয়াশাপূর্ণ এবং সন্দেহের সঞ্চার করে বলে জোরালো অভিযোগ পাওয়া গেছে।
তারই প্রেক্ষিতে ছাত্ররাজনীতি প্রতিরোধে ৬ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন—
বুয়েট দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদের নৃশংস মৃত্যুর মাধ্যমে বুয়েট বাংলাদেশের সবচেয়ে নিরাপদ ক্যাম্পাসে রূপ নেয়। বুয়েট সর্বশেষ ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার পর থেকে যে নিরাপদ এবং সুন্দর একটি ক্যাম্পাস আমরা উপহার হিসেবে পেয়েছি, তা দেশব্যাপী সকলের কাছে প্রশংসিত এবং অনুকরণীয়। দেশের সকল মানুষ, নানা প্রান্তের নানা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থী দেখেছে একটি রাজনীতিবিহীন ক্যাম্পাসের রোল মডেল, তার সুফল, তার সৌন্দর্য, তার উৎকর্ষের যত সমূহ সম্ভাবনা। তবে যে কলুষিত হাতগুলোর কারণেই ঝরে গিয়েছিল আমাদেরই নিষ্পাপ মেধাবী প্রাণ, সে কলুষিত হাতগুলো পরবর্তীতে বারে বারে ভিন্ন ভিন্নভাবে পুনরায় সে অপরাজনীতির অনুপ্রবেশের অপচেষ্টা চালিয়েছে, ক্যাম্পাসের এই সুন্দরতম ভিত্তিকে পুনরায় ধ্বংস করে দিতে চেয়েছে।
তারা আরও বলেন, গত ২৮ মার্চ রাত ১টার দিকে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানতে পারি- বুয়েটে একটি বিশেষ রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠনের বেশ কজন শীর্ষস্থানীয় নেতা এসেছেন এবং তারা ক্যাম্পাসের মেইন গেইট দিয়েই প্রবেশ করে ভেতরে ঢুকেছেন। মধ্যরাতে বহিরাগত রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টদের এমন দাপটে প্রবেশ কর্তৃপক্ষ এবং ডিএসডাব্লিউ এর দৃষ্টির অগোচরে হওয়া অসম্ভব। ঘটনা ঘটে যাওয়ার দুই দিন পার হয়ে গেলেও ডিএসডাব্লিউ থেকে কোনো সদুত্তর এবং জবাবদিহিতা করা হয়নি। ক্যাম্পাসে মধ্যরাতে তারা প্রবেশের অনুমতি কীভাবে কর্তৃপক্ষ থেকে পেয়েছিল এই সম্পূর্ণ ব্যাপারটি এখনো ধোঁয়াশাপূর্ণ এবং সন্দেহের সঞ্চার করে যে কীভাবে এবং কার মদদে তারা প্রবেশ করতে পারলো। এসব কিছু সাধারণ শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাকে বিঘ্নিত করে।
ছয় দফা দাবিগুলো হলো–
বিআরইউ