ববি প্রতিনিধি
মে ৭, ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
ববি প্রতিনিধি
মে ৭, ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে তাঁর বাসভবনের ফটকে তালা দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান নিয়ে সাংস্কৃতিক কর্মসূচি পালন করেন। পরে দুপুর ২টায় একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী, বাংলা বিভাগের আশেক এলাহী বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করছি। তার কর্মকাণ্ড ‘জুলাই বিপ্লব’-এর চেতনার পরিপন্থী। তিনি সময়মতো বিভিন্ন ফাইলে স্বাক্ষর না করায় প্রশাসনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। একজন নতুন, যোগ্য উপাচার্য নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত বাসভবনের ফটকে তালা থাকবে।”
মৃত্তিকা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুম বিল্লাহ বলেন, “জুলাই বিপ্লবের সময় যারা শিক্ষার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন, উপাচার্য তাদেরই বিভিন্ন পদে পদায়ন করেছেন। আর যারা শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন, তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “নিয়ম অনুযায়ী উপাচার্যের সার্বক্ষণিক ক্যাম্পাসে থাকার কথা, কিন্তু বর্তমান উপাচার্য অধিকাংশ সময় অনুপস্থিত থাকেন। গত সাত মাসে আমরা লক্ষ্য করেছি, তাঁর অধীনে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে এবং কোনো উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড কার্যকরভাবে বাস্তবায়িত হয়নি।”
এদিকে চলমান সংকটের মধ্যে উপাচার্যকে প্রধান অতিথি করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের একটি সভা পণ্ড করে দেন কর্মকর্তাদের একাংশ।
এছাড়াও, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে শেরে বাংলা হলের প্রভোস্ট ড. আবদুল আলিম বছির এবং জীবনানন্দ দাশ রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক সঞ্জয় কুমার সরকার তাঁদের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন।
ইএইচ