জবি প্রতিনিধি:
মে ১৬, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
জবি প্রতিনিধি:
মে ১৬, ২০২৫, ০৬:০২ পিএম
‘আমার ভাইয়ের কিছু হলে, ডিবি অফিস ঘেরাও হবে’—এ স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে কাকরাইল মোড়। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আজ শুক্রবার বিকেলে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
কাকরাইল মোড়ে অবস্থান কর্মসূচির মধ্যেই শিক্ষার্থীরা দাবি জানান, বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় আটক শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদের বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্ত ছাড়াই কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হলে তাঁরা সরাসরি ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) অফিস ঘেরাও করবেন।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বোতল নিক্ষেপের ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জবি শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত না করে তার বিরুদ্ধে যদি প্রশাসন কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়, তাহলে তারা কঠোর আন্দোলনের পথে যাবেন।
জবি শাখা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আরিফিন বলেন, ‘আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই—আমাদের ভাই ইসতিয়াকের কোনও ক্ষতি হলে ডিবি অফিস ঘেরাও করব। তদন্ত ছাড়া কোনো সিদ্ধান্ত হলে তার দায়-দায়িত্ব প্রশাসনকে নিতে হবে।’
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী অনিন্দ্য রায় বলেন, ‘রাষ্ট্র যদি একটি পানির বোতলের বিপরীতে টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও রক্ত ঝরানোকে যুক্তি হিসেবে দাঁড় করায়—তাহলে সেটা হবে ভয়ংকর এক অন্যায়।’
উল্লেখ্য, গত বুধবার রাতে কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে যান অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। রাত ১০টার দিকে পুলিশের ব্যারিকেডের সামনে তিনি দাঁড়িয়ে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ করে একটি পানির বোতল নিক্ষেপ করা হয়, যা গিয়ে তাঁর মাথায় লাগে। ঘটনার পর আজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বোতল নিক্ষেপকারী সন্দেহে জবি শিক্ষার্থী ইসতিয়াক আহমেদকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যায়।
আন্দোলনের চার দফা দাবি হলো—
- আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০% শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি চালু করা,
- জবির প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করে অনুমোদন,
- দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে,
- ১৪ মে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশের অতর্কিত হামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা।