জবি প্রতিনিধি
জুন ২, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
জবি প্রতিনিধি
জুন ২, ২০২৫, ০৪:০১ পিএম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে একটি প্রতারক চক্র 'মেধা বৃত্তি' দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করছে—এমন অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি একাধিক শিক্ষার্থী এই প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্য অনুযায়ী, প্রতারকরা শিক্ষার্থীদের নাম, বিভাগ ও বর্ষের তথ্য জেনে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করে। তারা জানায়, সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী মেধা বৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন এবং অর্থ পেতে হলে মোবাইলে পাঠানো একটি ওটিপি (ওয়ান টাইম পাসওয়ার্ড) শেয়ার করতে হবে।
শিক্ষার্থী ওটিপি জানিয়ে দিলেই প্রতারকরা তা ব্যবহার করে বিকাশ বা নগদের মতো মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে।
জবি ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আইয়ুব আলী বলেন, “একজন অপরিচিত ব্যক্তি ফোন করে আমার নাম, বিভাগ, বর্ষসহ বিস্তারিত তথ্য জানায়। পরে জানায় আমি মেধা বৃত্তির জন্য মনোনীত হয়েছি। টাকা পেতে অ্যাকাউন্ট নম্বর চাইলে আমি সরল বিশ্বাসে দিই। কিছুক্ষণ পর দেখি আমার কার্ড থেকে ৬ হাজার টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে।”
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আজিজুল হাকিম আকাশ বলেন, “আমাকে ফোন করে জানানো হয়, ইসলামী ব্যাংকে আমার বৃত্তির আবেদন মঞ্জুর হয়েছে। সন্দেহ হওয়ায় আমি কোনো তথ্য দিইনি। পরে দেখি এক সহপাঠী ফেসবুকে পোস্ট করেছে, সে একইভাবে ৪ হাজার টাকা হারিয়েছে।”
এই ঘটনার পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকের ধারণা, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো অনলাইন আবেদন ফর্ম, বৃত্তি সংক্রান্ত নথি বা অভ্যন্তরীণ ডেটাবেইস থেকেই এসব তথ্য চুরি হয়ে থাকতে পারে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে তথ্য ফাঁসের উৎস সম্পর্কে কিছু জানায়নি। বিষয়টি জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন বলেন, “এ ধরনের কোনো ঘটনার কথা আমি এখনো শুনিনি। খোঁজ নিয়ে জানানো হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, “এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক বিষয়। কিছু অসাধু ব্যক্তি শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগত তথ্যের অপব্যবহার করে প্রতারণা করছে। শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সচেতন থাকতে হবে। পাশাপাশি, আমাদের পক্ষ থেকেও তথ্য ফাঁসের উৎস খুঁজে বের করতে তদন্ত করা হবে।”
ইএইচ