আগস্ট ১৩, ২০২৫, ০২:০১ পিএম
ওপার বাংলার বর্ষীয়ান অভিনেত্রী বাসন্তী চ্যাটার্জি মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। পেটের ক্যানসারসহ একটি কিডনি অচল ছিল বলে জানা গেছে। গত ছয় মাস ধরে তিনি ছিলেন শয্যাশায়ী।
প্রায় ৭০ বছর ধরে অভিনয় জীবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এই অভিনেত্রী। উত্তমকুমার, ছবি বিশ্বাস, সুচিত্রা সেনের মতো কিংবদন্তি অভিনেতাদের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি।
মূলত থিয়েটার দিয়ে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়েছিল। পরে তিনি সিনেমা এবং ধারাবাহিকে অভিনয় করে নিজের অবস্থান পোক্ত করেন। সম্প্রতি তিনি ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন।
এই সিরিয়ালে তার সহ-অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় ‘এই সময় অনলাইন’-কে বলেন, ‘তিনি শেষ দিকে খুব কষ্ট পাচ্ছিলেন। তার চলে যাওয়ায় আমরা সকলেই মনে করছি, তিনি মুক্তি পেয়েছেন।’
২০২৫ সালের শুরুর দিকেও তিনি ‘গীতা এলএলবি’ ধারাবাহিকের সেটে ফিরেছিলেন। কিন্তু পাঁজর ভেঙে যাওয়ায় তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। এরপর থেকেই তিনি অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন।
এদিকে চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রিতে যখন পা রাখি তখন আমার ১৫-এর কাছাকাছি বয়স। প্রায় ৭০ বছর হয়ে গেল। কত যে স্মৃতি।’
অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে আসতেই শোকের ছায়া টেলিপাড়ায়। ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় বার বার অভিনেত্রীর অসুস্থতার কথা তুলে ধরেছিলেন প্রকাশ্যে। বাসন্তী চট্টোপাধ্যায়কে আর্থিক ভাবে সহায়তা করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও আবেদন করেছিলেন অভিনেতা। স্নেহাশিস চক্রবর্তীও এক সময়ে সাহায্য করেছিলেন তাকে। ‘ঠগিনী’, ‘আমি সে ও সখা’ ছবিতে তার কাজ উল্লেখযোগ্য।
বাসন্তী দেবীর কথা বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার দীর্ঘ দিনের গৃহকর্মী। তিনি জানান, নতুন করে কোনো সমস্যা তৈরি হয়নি। হঠাৎ চলে গেলেন। তবে গত ছয় মাস শারীরিক ভাবে খুব কষ্ট পেয়েছেন। গৃহকর্মী প্রার্থনা, এ বার যেন সদ্যপ্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেত্রী শান্তি পান।