ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Amar Sangbad

ইনস্টাগ্রাম

Amar Sangbad

এক্স

Amar Sangbad


লিংকডইন

Amar Sangbad

পিন্টারেস্ট

Amar Sangbad

গুগল নিউজ

Amar Sangbad


হোয়াটস অ্যাপ

Amar Sangbad

টেলিগ্রাম

Amar Sangbad

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Amar Sangbad


ফিড

Amar Sangbad

ঢাকা বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই, ২০২৫
Amar Sangbad

চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে: পুতিন

বিবিসি

বিবিসি

মার্চ ২২, ২০২৩, ০২:১৯ পিএম

চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনায় যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে: পুতিন
রুশ সৈন্য ইউক্রেন আক্রমণ করার পর চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রথম মস্কো সফর।

ইউক্রেনের জন্য চীনের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা যুদ্ধ বন্ধের ভিত্তি হতে পারে বলে মনে করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তবে তিনি বলেছেন, ‘যখন পশ্চিমা বিশ্ব ও কিয়েভ প্রস্তুত হবে, তখন চীনের শান্তি পরিকল্পনার অনেক বিধান গ্রহণ করা যেতে পারে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফা বৈঠকের পর একথা বলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

ইউক্রেন যুদ্ধ অবসান নিয়ে গত মাসে চীন যে ১২ দফা প্রস্তাব দেয় তাতে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু উল্লেখ নেই। বরং এতে সব রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্বকে সম্মান জানানোা, এবং সব পক্ষকে ‘যৌক্তিক আচরণ’ করার বলা হয়েছে।

অন্যদিকে, ইউক্রেন চাইছে কোনও ধরনের শান্তি আলোচনার আগে রাশিয়া যেন ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে সেনা প্রত্যাহার করে নেয়। কিন্তু সেজন্য রাশিয়া প্রস্তুত -এমন ইঙ্গিত এখনও পর্যন্ত মেলেনি।

সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, রাশিয়া সেনা প্রত্যাহারের আগে শান্তি আলোচনার প্রস্তাব দেয়া মানে রাশিয়ার কৌশলগত পদক্ষেপে সমর্থন দেয়া। ‘যুদ্ধবিরতির আহ্বানে ইউক্রেনের ভূখণ্ড থেকে রুশ বাহিনীকে অপসারণের কথা উল্লেখ নেই, ফলে সেটা কার্যকরভাবে রাশিয়ার বিজয়কে সমর্থন করবে’ – বলেন মি. ব্লিঙ্কেন।

‘ইউক্রেনে সংঘাত নিয়ে চীনের অবস্থান পক্ষপাতহীন’
মঙ্গলবার চীনের প্রেসিডেন্টের সাথে দ্বিতীয় দফা বৈঠক শেষে মি. পুতিন বলেন, শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে শান্তি পরিকল্পনা ব্যাপক গুরুত্ব পেয়েছে।

তিনি বলেছেন, ‘চীনের শান্তি পরিকল্পনার অনেক বিধান ইউক্রেনে সংঘাত নিরসনের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করা যাবে, যদি পশ্চিমা বিশ্ব ও কিয়েভ এর জন্য প্রস্তুত হয়’।

‘তবে রাশিয়া এখনো অন্য পক্ষ থেকে তেমন প্রস্তুতি দেখতে পায়নি,’ বলে উল্লেখ করেন মি. পুতিন।

রুশ নেতার পাশে দাঁড়িয়ে মি. শি বলেছেন যে তার সরকার শান্তি ও সংলাপের পক্ষে। ইউক্রেনে সংঘাত পরিস্থিতিতে চীনের অবস্থান যে ‘পক্ষপাতহীন’ সেই কথা আবারও উল্লেখ করেন মি. শি। তিনি বলেন- নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে শান্তি প্রতিষ্ঠায় বেইজিং ভূমিকা রাখতে চায়।

কিন্তু কোনও কোনও বিশ্লেষক মনে করেন, বেইজিংয়ের শান্তি পরিকল্পনা আসল উদ্দেশ্য আড়াল করার জন্য একটা ধোঁয়াটে পর্দার মতো এবং এই পরিকল্পনাকে সামনে রাখলে চীনের পক্ষে রাশিয়ার আক্রমণকে সমর্থন করা সহজ হবে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

 

সংবাদ সম্মেলনে যা বললেন দুই নেতা
চীন ও রাশিয়ার সম্পর্ক জোরদারের পরিকল্পনা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা করেন দুই দেশের নেতা। দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য, রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা করেন তারা।

বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মি. পুতিন বলেন- চীনের সহযোগিতায় রাশিয়ার অগ্রাধিকার হলো বাণিজ্য ও অর্থনীতি।

তিনি বলেন, রাশিয়ার শীর্ষ বৈদেশিক বাণিজ্যিক অংশীদার হলো চীন। দুই দেশে অর্থ, পরিবহন ও লজিস্টিকস খাতে নিজেদের সম্পর্ক গভীর করবে। জ্বালানি বিশেষ করে গ্যাস বাণিজ্যও বাড়ছে দুই দেশের।

মি. পুতিন আরও বলেছেন, রাশিয়া ও চীন পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের অগ্রগতি চালিয়ে যাচ্ছে। চীনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনে সহযোগিতা করছে রাশিয়া।

এর আগে মি. শি চীন ও রাশিয়াকে ‘প্রতিবেশী শক্তি ও ব্যাপক কৌশলগত অংশীদার’ বলে উল্লেখ করেছিলেন। মি. পুতিনের পর সংবাদ সম্মেলনে যৌথ বিবৃতি পড়ে শোনান শি জিন পিং।

মস্কোতে ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সময় কাটানো এবং রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী আতিথেয়তা ও উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ‘খুব খুশি’ হয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।

তিনি বলেছেন, ‘দুই নেতা একে অপরকে দশ বছরের বেশি সময় ধরে সমর্থন করে যাচ্ছেন এবং তা অব্যাহত থাকবে। আমাদের আলোচনা হয়েছে খোলামেলা, অবাধ ও বন্ধুত্বপূর্ণ।’

বেইজিংয়ের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনার বিষয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘গত মাসে ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে চীন তার অবস্থান প্রকাশ করেছে। আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, আমরা নিরপেক্ষ অবস্থানে থেকে জাতিসংঘের সনদ মেনে চলছি’।

এআরএস

Link copied!